Death Threat: কাশ্মীরে নির্বাচন কভার করতে গিয়ে মৃত্যুর হুমকি পেলেন হিন্দু মহিলা সাংবাদিক অর্চনা তিওয়ারি...
কাশ্মীরবাসীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন অর্চনা তিওয়ারি। সংগৃহীত ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মন্দির হলে মেনে নেব না। কারণ এটা কাশ্মীর।” ভোট চলাকালীন কাশ্মীরে স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে এমন মন্তব্যই শুনতে হল সাংবাদিক অর্চনা তিওয়ারিকে (Journalist Archana Tiwari)। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা। গোটা দেশের আর পাঁচটা রাজ্যের সঙ্গে এখন এক পঙক্তিতেই বসতে পারে কাশ্মীর। কারণ লোপ পেয়েছে তার বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা। তার পর এই প্রথম কোনও নির্বাচন হচ্ছে কাশ্মীরে। সেই নির্বাচনই কভার করতে গিয়েছিলেন অর্চনা। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে ডেথ থ্রেট বা মৃত্যুুর হুমকিও (Death Threat) পেতে হয়েছে তাঁকে।
৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর (Journalist Archana Tiwari) বস্তুত উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গিয়েছে ভূস্বর্গে। রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। চাঙা হয়েছে রাজ্যের ভেঙে পড়া পর্যটন শিল্প। বদলেছে কাশ্মীরবাসীর অর্থনীতির চালচিত্র। অভিযোগ, তার পরেও কাশ্মীরের একটা অংশ রয়ে গিয়েছে কাশ্মীরে। অর্চনাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের গ্রামে মন্দির বানানোর বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারছি না। আমরা এটা ভেঙে ফেলবই। আমি এটা মেনে নিতে পারছি না। আমি একজন মুসলমান। কাফেরদের (বিধর্মী) মধ্যে বাস করা আমার পক্ষে কঠিন।” তিনি বলেন, “বিজেপি এখানে জিতবে না। যেহেতু তারা এখানে মসজিদের সামনে মন্দির তৈরি করা শুরু করেছে। তারা মদের দোকানের লাইসেন্সও দিচ্ছে। এটা আমাদের ধর্মীয় রীতির পরিপন্থী।” স্থানীয় আরও কয়েকজনের বক্তব্যেও ঘুরে ফিরে এসেছে এমন মন্তব্য।
देखिए क्या मिसाल दे रहे हैं सेक्युलर भारत की मुश्ताक मिया..
— Archana Tiwari (@ArchanaRajdharm) September 22, 2024
बीजेपी के घोषणा पत्र में 100 मंदिरों का जीर्णोद्धार लिखा है पर क्या ये लोग मंदिरों का उद्धार होने देंगे ?#Kashmir #kashmirelection pic.twitter.com/mYB6tZl9j0
অর্চনার এই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। অনেকের মতে, অর্চনা বেছে বেছে সংকীর্ণমনা কাশ্মীরবাসীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। কাশ্মীরকে কলঙ্কিত করতেই তিনি এটা করেছেন। কেউ কেউ আবার কাশ্মীরকে ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর জন্য অর্চনার বিকৃত মানসিকতাকে দায়ী করেছেন। অর্চনার এই সাক্ষাৎকারকে একটি কূট ষড়যন্ত্র বলেও অভিহিত করেছেন তাঁরা।
তবে, অনেকে তাঁকে সমর্থনও করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, অর্চনার দোষ কোথায় এখানে? তিনি তো স্রেফ ক্যামেরা-বুম নিয়ে মানুষের মতামত জানতে চেয়েছেন মাত্র। তাঁদের মতে, এই প্রতিক্রিয়ার মাধ্য়েমে আসল ছবি প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁরা আরও জানান, আসলে সমস্যা অর্চনাকে নিয়ে নয়। তাঁর করা প্রশ্নের ফলে যে তাঁদের আসল মিথ্যাচার প্রকট হয়ে গিয়েছে তা নিয়েই চিন্তিত ইসলামি ও বাম-উদারপন্থারা।অর্চনার অভিযোগ, কয়েকজন আবার তাঁকে ডেথ থ্রেটও দিয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স সাংসদ রুহুল্লাহ মেহেদি বলেন, “স্থানীয়দের যে প্রতিক্রিয়া ভাইরাল হয়েছে, তা বাবরি (Death Threat) ধ্বংসের দ্বারা অনুপ্রাণিত প্রতিক্রিয়া (Journalist Archana Tiwari)।”
আরও পড়ুন: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।