প্রখ্যাত সাংবাদিক শীলা ভাট মুখ খুললেন ‘ছাত্র’ মোদিকে নিয়ে
প্রধানমন্ত্রী মোদি (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা না করতে পেরে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) বিরুদ্ধে ব্যক্তি কুৎসায় নেমেছে বিরোধী দলগুলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি আদৌ বিএ, এমএ পাশ করেছেন? সব জেনেও এমন প্রশ্ন বিরোধীরা করেই থাকে। এনিয়ে গুজরাট এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিলেও বিরোধীদের থামার লক্ষণ নেই। কারণ, উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার। যে কোনও মূল্যে প্রধানমন্ত্রীকে খাটো করা। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি ১৯৭৮ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করে বেরোন ১৯৮৩ সালে। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন প্রখ্যাত সাংবাদিক শীলা ভাট। তাঁর দাবি, মাস্টার্সে তিনি মোদির (PM Modi) সহপাঠী ছিলেন।
সাংবাদিক শীলা ভাট তাঁর এক বিবৃতিতে 'ছাত্র' মোদিকে নিয়ে বলেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন মোদি অসম্ভব মেধাবী, পরিশ্রমী এবং মনোযোগী ছাত্র ছিলেন। বর্ষীয়ান সাংবাদিক এদিন ছাত্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রসঙ্গত, দেশের অন্যতম নামকরা সাংবাদিক শীলা ভাট পলাতক গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের একাধিক সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। বর্ষীয়ান সাংবাদিকের কথায়, ১৯৮১ সালে মোদির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয় তাঁর। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোদি তখন স্নাতকোত্তরে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অধ্যাপক প্রবীণ শেঠ তাঁর মতো মোদিরও মেন্টর ছিলেন বলে দাবি করেছেন এই সাংবাদিক। বর্ষীয়ান এই সাংবাদিকের আরও দাবি, তাঁদের আর এক সহপাঠী বর্তমানে নামকরা আইনজীবী। আপ, কংগ্রেসের মতো বিরোধীরা যখন বারবার মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কটাক্ষ করছিল, তখন তিনি ওই আইনজীবীকে মুখ খোলারও কথা বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন শীলা।
প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) ডিগ্রি চেয়ে তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয় কেজরিওয়াল। উল্টে কেজরিকে খেতে হয় কোর্টের গুঁতো। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে গুজরাট হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির কপি প্রকাশ করতে বাধ্য নয় পিএমও বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এতদিন যে উত্তর পেতে তথ্য কমিশনের কাছে গিয়েছিল কেজরিওয়াল, তা পাওয়া গেল শীলা ভাটের কথায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।