এক দেশ এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত বিল পাশ করানো হবে বলে জল্পনা...
রামনাথ কোবিন্দ ও জেপি নাড্ডা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই ডাকা হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) নীতি কার্যকর করতে গড়া হয়েছে কমিটিও। এই কমিটির মাথায় রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আজ, শুক্রবার তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এর পরেই দুয়ে দুয়ে চার করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। চলতি বছরেই রয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। আপাতত এই নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। এগিয়ে আসতে পারে লোকসভা নির্বাচন। আর যদি ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি কার্যকর হয়, তবে দেশ ফিরবে ’৬৭ সালের আগের অবস্থায়।
‘এক দেশ এক নির্বাচন’
১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বসবে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’র পাশাপাশি ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত বিল পাশ করানো হবে বলে জল্পনা। সরকারি একটি সূত্রে খবর, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ পেশ করা হতে পারে এই বিশেষ অধিবেশনেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি বিশেষ অধিবেশনে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) বিল পাশ হয়ে যায়, তাহলে ঘর গোছানোর সময় পাবেন না বিরোধীরা। বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা আলাদা নির্বাচন হলে যে বিস্তর খরচ হতো, তাও বেঁচে যাবে। এমতাবস্থায় কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করলেন নাড্ডা।
২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই ‘এক দেশ এক নির্বাচনে’র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর যুক্তি ছিল, এতে নির্বাচনের বিপুল খরচ কমবে। এক সঙ্গে দুটি নির্বাচন হলে সরকারি কর্মীদের কাজের চাপ কমবে। পৃথক ভোট হলে বারংবার আদর্শ আচরণবিধি লাগুর কারণে যে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম থমকে থাকে, তা আর হবে না। মোদি সরকারের এই নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডিয়া’ নয়, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, জানাল আরও একটি রিপোর্ট
তাঁদের মতে, এই নীতির সাহায্যে মোদি সরকার ঘুরপথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে দেশে। এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী। প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এক সঙ্গেই হতো লোকসভা ও বিধানসভাগুলির নির্বাচন। পরে কয়েকটি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু হওয়ায় ছেদ পড়ে এই ধারাবাহিকতায়। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর এ বিষয়ে (One Nation One Election) আলোচনা করতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল মোদি সরকার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।