Atomic Energy Board: কালপক্কম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কী বলছেন অ্যাটমিক এনার্জি বোর্ডের চেয়ারম্যান?
কালপক্কম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরমাণু শক্তির গবেষণার ক্ষেত্রে বড় খবর! তামিলনাড়ুর কালপক্কম (Kalpakkam) পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র সবুজ সংকেত পেল অ্যাটমিক এনার্জি বোর্ডের কাছ থেকে। প্রসঙ্গত, এটি ভারতের প্রথম স্বদেশী প্রযুক্তিতে নির্মিত পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী মোদিও কয়েকমাস আগে এই পরমাণু বিদ্যুৎ (Kalpakkam) কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন এবং কথা বলেন সেখানকার কর্মী ও আধিকারিকদের সঙ্গে। পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের করমণ্ডল উপকূলে অবস্থিত। ৫০০ মেগাওয়াটের ফাস্ট ব্রিডার রিঅ্যাক্টরটি ভারতীয় নাভিকিয়া বিদ্যুত নিগম লিমিটেড (BHAVINI) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে।
কেন্দ্রটি সবুজ সংকেত পাওয়ায়, এরপর থেকে এখানে কাজ শুরু হবে নিউক্লিয়ার ফুয়েল লোডিং ও চেন রিয়েকশনের। মনে করা হচ্ছে এই প্রকল্প আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচিকে অনেক বড় সাফল্য এনে দিল। দেশের অ্যাটমিক এনার্জি (Atomic Energy Board) বোর্ডের চেয়ারম্যান দীনেশ শুক্লা সবুজ সংকেত দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি এও বলেছেন যে এই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি (Kalpakkam) অত্যন্ত নিরাপদ। প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর এই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কাজ শুরু করে ১৯৮৪ সাল থেকেই। জানা গিয়েছে, বিগত কুড়ি বছর ধরে কেন্দ্রটিকে উন্নয়ন করা হয়েছে এবং এর জন্য খরচ হয়েছে ৬,৮৪০ কোটি টাকা।
এই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি (Kalpakkam) ফার্স্ট ব্রিডার রিয়াক্টর। রাশিয়ার পরে ভারতই দ্বিতীয় দেশ যারা এমন পরমাণু কেন্দ্র তৈরি করতে পেরেছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিদর্শনে যান এবং সেখানকার কার্য পদ্ধতি খতিয়ে দেখেন। ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাটমিক এনার্জি (Atomic Energy Board) জানিয়েছে যে তামিলনাড়ুর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে থার্ড জেনারেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারতের শক্তি নিরাপত্তার কারণে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির এমন উন্নয়ন খুবই প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।