সৌদি পুলিশ গ্রেফতার করে শৈলেশকে...
কর্নাটক হাইকোর্ট।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেসবুক (Facebook) পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে ভারতে। বুধবার এই ভাষায়ই বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপকে সতর্ক করল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। সৌদি আরবের জেলে বন্দি রয়েছেন শৈলেশ নামে এক ভারতীয়। তাঁর পরিবারের দায়ের করা মামলার তদন্তে কর্নাটক পুলিশকে ফেসবুকের তরফে যথেষ্ট সাহায্য করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তার প্রেক্ষিতেই আদালতের এই মন্তব্য। মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিতের এজলাসে। সেখানে আবেদন পেশ করেছিলেন ওই বন্দির স্ত্রী কবিতা।
ফেসবুককে বেঞ্চের নির্দেশ, এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য সহ সম্পূর্ণ রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে। এর পাশাপাশি ভারত সরকারের কাছে কর্নাটক হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, ভুয়ো মামলায় (Karnataka High Court) বন্দি ভারতীয় নাগরিকের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। ম্যাঙ্গালুরু পুলিশকেও সঠিক তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২২ জুন। গত ২৫ বছর ধরে সৌদি আরবের একটি সংস্থায় কাজ করছিলেন শৈলেশ। সেই সুবাদে তিনি থাকেন সে দেশেই। ছেলেমেয়েদের নিয়ে তাঁর স্ত্রী কবিতা থাকেন দক্ষিণ কন্নড়ের ম্যাঙ্গালুরুর কাছে বিকারনাকাট্টে নামে একটি জায়গায়।
কবিতার অভিযোগ, ২০১৯ সালে তাঁর স্বামীর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে সেখান থেকে সৌদির রাজা ও কিছু সংবেদনশীল বিষয়ে বিতর্কিত পোস্ট করা হয়। এর আগে অবশ্য সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসির সমর্থনে কয়েকটি পোস্ট করেছিলেন শৈলেশ। তাঁর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে বিতর্কিত পোস্ট দেওয়ার কথা জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাটি পরিবারকে জানান তিনি। ম্যাঙ্গালুরুতে অভিযোগ দায়ের করা হয় পুলিশে। ইতিমধ্যেই সৌদি পুলিশ গ্রেফতার করে শৈলেশকে।
আরও পড়ুুন: ‘‘পঞ্চায়েতে ভোট লুটের পরিকল্পনায় তৃণমূল ও পুলিশ’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু
এদিকে, ফেসবুককে চিঠি দিয়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্টটি সম্পর্কে জানতে চান ম্যাঙ্গালুরু পুলিশের তদন্তকারীরা (Karnataka High Court)। পুলিশের দাবি, ফেসবুক কোনও উত্তর করেনি। তদন্তে দেরির কারণে ২০২১ সালে ফের কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কবিতা। তার প্রেক্ষিতেই বুধবার ফেসবুককে সতর্ক করে কর্নাটক হাইকোর্ট। স্বামীর বন্দিদশা যাতে দ্রুত ঘোঁচে, তাই কেন্দ্রকেও চিঠি লিখেছেন কবিতা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।