Hijab: সম্প্রতি, কলেজে 'ইউনিফর্ম' পরাকে আবশ্যিক উল্লেখ করে নির্দেশিকা জারি করে মাঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়...
হিজাব পরায় সাসপেন্ডেড ছয় ছাত্রী। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকে (Karnataka) ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে হিজাব-বিতর্ক (Hijab Row)। একাধিকবার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও নিয়ম লঙ্ঘন করায় ৬ ছাত্রীকে দু'দিনের জন্যে সাসপেন্ড করল কর্নাটকের প্রথম সারির একটি সরকারি কলেজ। উপ্পিনাংগাদির এক কলেজে নিয়ম ভেঙে 'কলেজ ইউনিফর্ম'-এর বদলে হিজাব (Hijab) পরে আসায় সাসপেন্ড করা হল ওই ছাত্রীদের। এর আগে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছিল তাঁদের বলে দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের।
মাঙ্গালুরু বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীনস্থ ওই কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নেন। এর আগেই কলেজ চত্বরে 'ইউনিফর্ম' পরাকে আবশ্যিক বলে নির্দেশিকা জারি করে মাঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়। নির্দেশিকায় বলা হয়, হিজাব খুলে ক্লাসে প্রবেশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও
ছাত্রীরা হিজাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানালেও কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকে। তারা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিকা মেনেই ক্লাস করতে হবে। কিন্তু এরপরেও হিজাব পরেই ক্লাস করতে থাকেন ওই ছয় ছাত্রী।
আরও পড়ুন: গাজিয়াবাদের কলেজে হিজাব-বিতর্ক, নির্দিষ্ট পোশাক পরতে বলায় প্রতিবাদ ছাত্রীদের
ওই কলেজেরই এক শিক্ষকের বক্তব্য, "হিজাব পরে ওই ছাত্রীরা ক্লাস করছিল। কিছু ছেলে এবিষয়ে অভিযোগ জানায়। অধ্যক্ষ, শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করে ওই ছাত্রীদের ২ দিনের জন্যে সাসপেন্ড করেন, যাতে সমস্যা আরও বেড়ে না যায়। সোমবার থেকে ক্লাস করতে পারবে ওই ছাত্রীরা। আমরা ওই ছাত্রীদের জন্যে পুনর্পঠনের এর ব্যবস্থা করব।"
কিছুদিন আগেই হিজাব বিতর্কে (Hijab row) কেঁপে উঠেছিল কর্নাটক। হিজাব পরে স্কুল-কলেজে ক্লাস করার অনুমতির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে মুসলিম শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে আন্দোলন শুরু করে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এভাবে হিজাবের পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনে বেশ কয়েকটি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের সব স্কুল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয় বলে আদেশ দেয় কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka HC)। যেকোনও রকম অশান্তিকে এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।