মন্দিরের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল...
কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির বাঁদিকে। ডান দিকে ছবি প্রসাদের। প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমী পোশাকের ঢেউ আছড়ে পড়েছে সনাতনী ভারতে। শরীরের অনেকখানি অংশ দেখা যাচ্ছে এমন পোশাক পরে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন ভাবগ্রাহী জনার্দনের দ্বারে। ভাবগম্ভীরতাই যেখানে মূল সুর হওয়া প্রয়োজন, এক শ্রেণির দর্শনার্থীর জন্য সেখানেই বইছে আগুনে-কামের হাওয়া। এতে মন্দিরের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল দর্শনার্থীদেরই একাংশের মধ্যে থেকে।
সেই কারণেই পোশাক বিধি চালু করেছেন পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। এবার সেই পথে হাঁটতে চলেছেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Vishwanath Temple) কর্তৃপক্ষও। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে এখনও অবধি পোশাক বিধি চালু নেই। মন্দিরের পিআরও পীযূষ তিওয়ারি বলেন, “বর্তমানে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও পোশাকবিধি চালু নেই।” তবে অচিরেই লাগু হতে পারে পোশাক বিধি। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নগেন্দ্র পাণ্ডে বলেন, “শীঘ্রই একটি বৈঠকে বসতে চলেছেন কমিটির সদস্যরা। সেখানেই ভক্তদের জন্য পোশাক বিধি নির্দিষ্ট করা হবে কিনা, তা বিবেচনা করা হবে।”
তিনি বলেন, “দর্শনার্থীরা কী ধরনের পোশাক পরে আসছেন সেটি ভাল করে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় কিছু ভক্ত, এলাকার বাসিন্দা এবং সংবাদ মাধ্যমের একাংশও চাইছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পোশাক বিধি। নভেম্বরে এই মর্মে মন্দির কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে।” কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Vishwanath Temple) ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বলেন, “সম্প্রতি একাধিক ভক্তের তরফেও দর্শনার্থীদের একাংশের পোশাক নিয়ে আপত্তি এসেছে। সকলেই চাইছেন, অন্য জনপ্রিয় মন্দিরগুলির মতো এই মন্দিরেও চালু হোক পোশাক বিধি। সব কিছু বিচার-বিবেচনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”
আরও পড়ুুন: ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে জ্যোতিপ্রিয়-কন্যা, সাংবাদিকদের প্রশ্নে হারালেন মেজাজ
তিনি বলেন, “কারও বিশ্বাস কিংবা ভাবাবেগে আঘাত না করে বাস্তবোচিত পোশাক পরে মন্দিরে পুজো দিতে আসাটাই শ্রেয়।” নগেন্দ্র বলেন, “তিরুপতি, মীনাক্ষী এবং উজ্জ্বয়িনীর মতো মন্দিরে ইতিমধ্যেই পোশাক বিধি চালু করা হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্তগুলিও পর্যালোচনা করা হবে। ট্রাস্টের সদস্যরা শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেন, দেখা যাক। তবে আমরা সব সময়ই চাইব, ভক্তরা যেন শালীন পোশাক পরে মন্দিরে (Kashi Vishwanath Temple) পুজো দিতে আসেন।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।