VHP: ১৯৭৪ সালের ২৬ জুন ইন্দিরা গান্ধী সরকার কচ্ছতিভু দ্বীপ শ্রীলঙ্কাকে দেয়, যা অসংসদীয় বলে মনে করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কচ্ছতিভু দ্বীপ (Katchatheevu Island) নিয়ে বিতর্ক চলছেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ নিয়ে অভিযোগ করেন, ৫০ বছর আগে এই দ্বীপ শ্রীলঙ্কাকে দান করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। এই দ্বীপ ইস্যুতে প্রথমে কংগ্রেস তারপর দক্ষিণ ভারতের দল ডিএমকেকেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বিবৃতিকেই সিলমোহর দিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) জানিয়েছে, শুধুমাত্র কচ্ছতিভু দ্বীপ নয়, সমগ্র ভারতবর্ষের অখন্ডতাকেও টুকরো টুকরো করেছে কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার, নিজেদের বিবৃতিতে (Katchatheevu Island) বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সুরেন্দ্র জৈন ব্যাখা করেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে দেশপ্রেমী এবং জাতীয়তাবাদী মানুষেরা সেই সরকারকে নির্বাচিত করবেন কেন্দ্রে, যারা অসংসদীয়ভাবে অন্য রাষ্ট্রকে দান করা দ্বীপ উদ্ধার করতে পারবে। তার পাশাপাশি, ভারতবর্ষের যে সমস্ত ভূখণ্ড, জলসীমা এবং আকাশ সীমা আগ্রাসনকারীদের দখলে রয়েছে, সেগুলিকেও উদ্ধার করার ক্ষমতা যাদের রয়েছে। তাদেরই নির্বাচিত করবেন দেশের মানুষ। নিজেদের একটি বিবৃতিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আরও জানিয়েছে, ঐতিহাসিকগতভাবে কচ্ছতিভু দ্বীপ সর্বদাই অখন্ড ভারতের অংশ। ইন্দিরা গান্ধীর সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা অসংসদীয়। যা ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপরে আঘাত করেছে। ভারতের সংসদীয় ব্যবস্থার প্রতিটি বিশ্বাসঘাতকতা ছিল ইন্দিরা গান্ধীর সিদ্ধান্ত।
৫০ বছর আগে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের (Katchatheevu Island) নেওয়া এই সিদ্ধান্তকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের দাবি, ১৯৭৪ সালের ২৬ জুন ইন্দিরা গান্ধী সরকার কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত এই কচ্ছতিভু দ্বীপকে শ্রীলঙ্কাকে প্রদান করে। এটি অসংসদীয়। কারণ ১৯৬০ সালের বেরুবারি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যদি অন্য কোনও দেশকে ভারতের কোন ভূখণ্ড দিতেই হয়, তাহলে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেবে ভারতের সংসদ এবং ভারতের সংসদের সম্মতি প্রয়োজন। এর পাশাপাশি, এই সম্মতি হতে হবে সংশ্লিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাসকারী মানুষদের মতামতের ওপরে ভিত্তি করেই। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অভিযোগ, এর কোনওটাই মানেনি ইন্দিরা গান্ধীর সরকার।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Katchatheevu Island) আরও অভিযোগ, কংগ্রেস জমানায় কাশ্মীরের ৪২ হাজার ৭৩৫ বর্গ কিলোমিটার জায়গা চিন দখল করেছে। ৩৪,৬৩৯ বর্গ কিলোমিটার জায়গা পাকিস্তান দখল করেছে বলেও অভিযোগ আনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এই দখল স্বাধীনতার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই সম্পন্ন করেছে তারা। কংগ্রেস নেতৃত্বকে তারা প্রশ্নও ছুড়েছে, কেন দেশের প্রতি এত অবহেলা তাদের!
সম্প্রতি কচ্ছতিভু দ্বীপ সংক্রান্ত একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। তথ্যের অধিকার আইনের (আরটিআই) সেই রিপোর্টকে সামনে রেখে কংগ্রেস এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে মোদি লেখেন, ‘‘কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে আরটিআই রিপোর্ট খুবই চমকপ্রদ। এই রিপোর্ট আমাদের চোখ খুলে দিচ্ছে। এখান থেকে পরিষ্কার, কংগ্রেস কেমন নিষ্ঠুর ভাবে ওই দ্বীপ শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।