Swapna Suresh: মঙ্গলবারই সোনা পাচার কাণ্ডের সাথে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন জড়িত আছে বলে দাবি করেন স্বপ্না।
স্বপ্নার অভিযোগ ওড়ালেন বিজয়ন। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরল সোনা পাচারকাণ্ডের (Kerala Gold Smuggling Case) মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের (Swapna Suresh) সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)। স্বপ্নার সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং 'নিম্নমানের রাজনৈতিক চাল' বলে উল্লেখ করলেন তিনি।
মঙ্গলবারই সোনা পাচারকাণ্ডের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন জড়িত আছেন বলে দাবি করে স্বপ্না। তার দাবি, "আরব আমিরশাহী থেকে কেরলে সোনা পাচার সম্পর্কে জানতেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন এবং তাঁর তিন মন্ত্রী। গোটা বিষয়টি নিয়ে অবগত ছিলেন কেরল বিধানসভার তৎকালীন স্পিকারও।"
গোটা বিষয়কেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন পিনারাই বিজয়ন। ২০২১ সালের অক্টোবরে সোনা পাচার মামলায় এনআইএ (NIA) তাকে গ্রেফতার করার পরেও একই দাবি করেছিল স্বপ্না। একটি ব্যাগ থেকে ১৫ কোটি টাকার সোনা বাজেয়াপ্ত হওয়ায় শুরু হয় মামলা।
আরও পড়ুন: 'তালিবানি' হয়ে যাচ্ছে বাম-শাসিত কেরালা! বললেন বিজেপি নেতা
গতকাল ফের জেরা করা হয় স্বপ্নাকে। জেরায় স্বপ্না জানায়, "এই মামালায় মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সহ তাঁর স্ত্রী কন্যারও সরাসরি যোগ রয়েছে। আমি এখনও পর্যন্ত আদালতে ১৬৪টি বক্তব্য পেশ করেছি। আমি আদালতকে এটাও জানিয়েছি কারা কারা এই মামলায় জড়িত। আদালতে আমি আমার জীবনের সুরক্ষাও চেয়েছিলাম। আদালত আমাকে তার অনুমতি দিয়েছে। আমি আদালতকে জানিয়েছি এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী কমলা, মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা বীণা, তৎকালীন সিএমও-র মুখ্যসচিব এম শিবশঙ্কর, মুখ্যমন্ত্রীর সেক্রেটারি রবীন্দ্রণ, মুখ্যসচিব নলিনী নেত্তো এবং মন্ত্রী কেটি জটিল জড়িত।"
স্বপ্না সুরেশ আরও জানায়, "২০১৬ সালে দুবাইতে বিজয়নের কাছে একটা টাকা ভর্তি ব্যাগ পাঠানো হয়। ২০১৬ সালে আমি কনস্যুলেটের সেক্রেটারি ছিলাম। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী দুবাইতে ছিলেন। এম শিবশঙ্কর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একটা ব্যাগ নিয়ে যেতে ভুলে গেছেন। আমি যেন সেটা তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিই। ব্যাগটি যখন কনস্যুলেটে আসে তখন আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা ব্যাগটি পরীক্ষা করে বুঝতে পারি তার মধ্যে ভর্তি আছে টাকা। এই সব টাকাই সোনা পাচারের।"
স্বপ্না সুরেশের বক্তব্যের পরেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশজুড়ে। ফের এক নয়া মোড় নিয়েছে এই সোনা পাচার মামলা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে বেশি সুন্দর ভাবলে ভুল হবে, অভিমত কেরালা হাইকোর্টের
মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের বাড়ি থেকে অপর এক অভিযুক্ত সারথি পিএসকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় লোক এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগে জানিয়েছে স্বপ্না। স্বপ্না জানায়, "আমাকে খুন করা হতে পারে বলে আমি আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় জড়িত বলেও আগেই জানিয়েছিলাম। আমি সামান্য মুখ খুলেছি, আর ওরা প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করে দিল।"
এবিষয়ে পিনারাই বিজয়ন বলেন, "রাজ্য সরকারই প্রথম কেন্দ্রকে এই মামলায় তদন্ত চালাতে বলে। ওরা যদি মনে করে এইসব অপপ্রচার করে সরকার বা দলের ক্ষতি করা যাবে, তাহলে ওরা ভুল ভাবছে। এটা একটা বড় ষড়যন্ত্র। রাজ্যবাসীই এর উত্তর দেবে।"