কোঝিকোড় জেলার চিঙ্গাপুরমের বাসিন্দা পুলিশ অফিসার রাম্যা (MR Ramya) সম্প্রতি তার মাতৃত্বকালীন ছুটির পরে আবার দায়িত্বে যোগদান করেছিলেন...
ক্ষুধার্ত শিশুকে বুকের দুধ খাইয়ে প্রাণ বাঁচালেন কেরালার পুলিশ অফিসার
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১২ দিনের একটি ছোট্ট শিশুকে বুকের দুধ খাইয়ে বাঁচালেন (Kerala police officer breastfeed) কেরলের এক মহিলা পুলিশ অফিসার। এই ঘটনার প্রশংসা করেছেন রাজ্যের পুলিশ প্রধান ও কেরল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। কেরলের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দেবান রামচন্দ্রন পুলিশ অফিসারের সহানুভূতির প্রশংসা করেছেন এবং তার সম্মানার্থে একটি শংসাপত্রও পাঠিয়েছেন। সেই শংসাপত্রে বিচারপতি লিখেছেন যে, আপনি (ওই মহিলা পুলিশ) পুলিশ প্রশাসনের অন্যতম মুখ। আপনি শুধু একজন ভালো অফিসারই নয় তার পাশাপাশি একজন সত্যিকারের মা। জীবন ঐশ্বরিক দান কিন্তু তা একজন মা এই জীবনকে রক্ষা করতে পারেন। আপনি সকলের মধ্যে এই মানবতাবাদের আশাকে বাঁচিয়ে রাখুন।
এছাড়াও রাজ্যের পুলিশ প্রধান (State Police Chief) অনিল কান্ত সেই মহিলা পুলিশ অফিসার ও তার পরিবারকে পুলিশের মুখ্য কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং তিনি ওই অফিসারের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন। এই প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন যে, এই কর্মকাণ্ডের ফলে পুলিশ প্রশাসনের ফের আরেকবার গ্রহনযোগ্যতা বাড়ল রাজ্যবাসীর মনে। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে ২৯ অক্টোবর শিশুটির মা কোঝিকোড়ের চেভায়ুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে তাঁর সন্তান নিখোঁজ। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে বিরোধের কারণে তার স্বামী তাদের শিশুটিকে নিয়ে চলে গিয়েছে। অভিযোগ দায়ের হবার পরেই পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছিল। প্রশাসন তরফে রাজ্যের সীমান্তবর্তী পুলিশ স্টেশনগুলিকে সতর্ক করা হয়। সীমান্তে নাকা চেকিং করার সময় সুলতান বাথেরি থানার পুলিশ শিশু এবং বাবাকে খুঁজে পায়।
এদিকে পুলিশ লক্ষ্য করে যে শিশুটির শারীরিক পরিস্থিতি ভালো নয়। তড়িঘড়ি করে নিকটবর্তী হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পরে জানা যায় দীর্ঘসময় বুকের দুধের অভাবে শিশুটি ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ও শরীরে শর্করার মাত্রাও কম। এই কথা শুনেই শিশুটির উদ্ধারকারী দলের মধ্যে থাকা ওই মহিলা পুলিশ অফিসার রাম্যা (MR Ramya) ও একটি নার্স শিশুটিকে বুকের দুধ খাওয়ান (Kerala police officer breastfeed)। ওই রাতেই শিশুটিকে মায়ের কাছে আনা হয়। কোঝিকোড় জেলার চিঙ্গাপুরমের বাসিন্দা রম্যা (MR Ramya) সম্প্রতি তার মাতৃত্বকালীন ছুটির পরে আবার দায়িত্বে যোগদান করেছিলেন। তার চার বছর এবং এক বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে এবং তার স্বামী একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি নারী ব্যাটালিয়নের দ্বিতীয় ব্যাচে প্রশিক্ষণ শেষ করে চার বছর আগে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এবং বর্তমানে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের চতুর্থ স্কোয়াডে দায়িত্ব পালন করছেন।