ইজরায়েলের হামলায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে হামাসের জঙ্গিরা...
কেরলের প্রার্থনা সভায় বিস্ফোরণের সেই ছবি। (সংগৃহীত)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ভার্চুয়ালি ভাষণ দিয়েছিলেন প্রাক্তন হামাস নেতা খালেদ মাশাল। তার আগে আগেই কেরলের মলপ্পুরমে মিছিল বের হয় প্যালেস্তাইনের সমর্থনে (Kerala Blast)। মিছিলের আয়োজক জামাত-ই-ইসলামির যুব সংগঠন। পরে আয়োজন হয় সভার। সেই সভায়ই ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন খালেদ।
সেখানে প্যালেস্তিনীয় যোদ্ধাদের পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে বলা হয় শ্রোতাদের। ইহুদি সন্ত্রাসের হাত থেকে আল আকসা মসজিদ উদ্ধারের কথা বলেন এই মুসলমান নেতা। এর ঠিক দুদিন পরে রবিবার করলের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত প্রার্থনা সভায় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। প্রার্থনা সভাটিতে অংশ নিয়েছিলেন খ্রিষ্টানদের একটি সম্প্রদায়। খালেদের বক্তব্যের সঙ্গে এই বিস্ফোরণের যোগ রয়েছে কিনা, তা জানতে চেয়ে তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি, কংগ্রেস এবং বামেরা।
৭ অক্টোবর ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলে হামলা চালায় মুসলমানের দেশ প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Kerala Blast)। ইহুদিদের ধরে ধরে কার্যত কচুকাটা করে হামাসের জঙ্গিরা। এর পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। তেল আভিভের পাশে দাঁড়ায় ভারত, আমেরিকা, কানাডা সহ বিশ্বের বহু দেশ। ইজরায়েলের হামলায় আক্ষরিক অর্থেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে হামাসের জঙ্গিরা। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের মতে, তাই চলছে হামাসের পক্ষে সমর্থন জোগাড়ের কাজ।
Unbelievable😮! #HamasTerrorist Khaled Mashal speaks from Qatar in a #Kerala event under the slogan ‘Uproot bulldozer Hindutva & Apartheid Zionism’.
— Naor Gilon (@NaorGilon) October 29, 2023
Mashal calls participants to:
1. Take the streets and show anger.
2. Prepare for jihad (on Israel).
3. Support Hamas… pic.twitter.com/RH7nyAkEbN
আরও পড়ুুন: ‘‘ভাই-ভাইপো, বাড়ির কুকুর-বিড়াল দুর্নীতিতে যুক্ত’’, মমতাকে নিশানা দিলীপের
শুক্রবার কেরলে যে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল, তার আয়োজক ছিলেন জামাত-ই-ইসলামি সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সদস্য আবুসালেম আহমেদ। প্যালেস্তাইনে বর্ণবিদ্বেষী শক্তি সংগঠিতভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয় সভায়। ভারতও ওই সংগঠিত শক্তির অংশ বলেও দাবি করা হয়। এর পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। সভা ও মিছিলের অনুমতি দিয়ে বিপাকে পড়ে কেরলের বাম সরকার। কেরলের বিজেপি সহ সভাপতি ভিটি রেমা বলেন, “ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরা নিজেদের আসল চেহারা দেখাচ্ছে। সবাই জানে, হামাসই প্রথম ইজরায়েলকে আক্রমণ করেছিল।” কেরল বিজেপির সভাপতি কে সুরেন্দ্রণ বলেন, “মলপ্পুরমের সভায় হামাস নেতা খালেদ মাশালের ভাষণ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। পিনারাই বিজয়নের কেরল পুলিশ কোথায়? প্যালেস্তাইন বাঁচাওয়ের নামে সন্ত্রাসীদের যোদ্ধা হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।” পুরো ঘটনায় (Kerala Blast) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সুরেন্দ্রণ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর ঘটনাটিকে কংগ্রেস এবং সিপিএমের তুষ্টিকরণের রাজনীতি বলে অভিহিত করেছেন। কেরলে হিংসা এবং জিহাদ ছড়ানোর জন্য ইন্ডি জোট ভারতে হামাস জঙ্গিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “মিছিল হয়েছিল কেরলে। আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করবে বক্তৃতাটি লাইভ না রেকর্ড করা। রেকর্ড করা হলে কে এবং কীভাবে ভিডিওটি পেল তা তদন্ত করা হবে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।