নারীদের প্রতি এমন নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে ৬ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক জিরো টলারেন্স দিবস পালন করা হয়।
যৌনাঙ্গচ্ছেদন
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের (Khatna) বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জিরো টলারেন্স দিবস। এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল, নারীর যৌন অঙ্গচ্ছেদের এই নির্মম প্রথা একেবারে নির্মূল করা। আজও পৃথিবীর অনেক দেশেই এই বর্বর প্রথা রয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে বেশি দেখা যায় এই প্রথা। ভারতে এই প্রথার না 'খৎনা'।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন কী এবং নারী যৌন অঙ্গচ্ছেদের জন্য আন্তর্জাতিক জিরো টলারেন্স দিবসের ইতিহাস।
আরও পড়ুন: জেইই মেইন সেশন ১ - এর ফল প্রকাশিত হল, কী করে দেখবেন?
নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দিবস কবে?
ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন বা নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের (Khatna) বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার দিন ছিল গত সোমবার। নারীদের প্রতি এমন নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে ৬ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক জিরো টলারেন্স দিবস পালন করা হয়। এই দিবসের লক্ষ্য হল, ২০৩০ সালের মধ্যে এই কুপ্রথা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা।
এই দিবসটি চালু করেন নাইজেরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট স্টেলা ওবাসাঞ্জো (Khatna)। তিনি নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ক্যাম্পেইনের মুখ ছিলেন। ২০০৩ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম এই দিনটি পালনের ঘোষণা করেন তিনি। পরবর্তীতে জাতিসংঘও এই দিনটিকে স্বীকৃতি দেয়।
জাতিসংঘ ২০০৭ সালে মহিলাদের যৌনাঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে একটি অভিযান (Khatna) শুরু করে। ২০১২ সালে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৬ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জিরো টলারেন্স দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন বা নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদ (Khatna) বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত এক প্রথা। যে প্রথা অনুযায়ী নারীর যৌনাঙ্গের বাহ্যিক অংশ, ক্লিটোরিস সাধারণত ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলা হয়। নারীর সতীত্ব রক্ষার দোহাই দিয়ে এই কাজ করা হয়। আসলে নারীর যৌনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার স্বার্থেই পুরষতান্ত্রিক সমাজ এই প্রথার প্রচলন করে। সাধারণত ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের ক্লিটোরিস বা যৌন সুখানুভূতির প্রত্যঙ্গটি কেটে দেওয়া হয়! যুগ যুগ ধরে কন্যা শিশুদের উপর এই অত্যাচার চলে আসছে সামাজিক নিয়মের নাম করে।
সাধারণত বাড়ির বয়স্ক মহিলারাই বাড়ির সম্ভ্রম রক্ষার জন্যে কন্যা সন্তানদের যৌন আনন্দকে দমিয়ে রাখতে এই প্রথা পালন করে থাকেন। তাদের বিশ্বাস মেয়েদের যৌনাঙ্গ ছেদ করলে তা তাদের শুদ্ধ করে তোলে। বেশিরভাগ সময়ই এই কাজের সময় মেয়েদের অজ্ঞান করা হয় না। ফলে নারীরা তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন।