ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুরের দাম ৯০০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০০০-১৩০০০ টাকা হয়েছে।
ল্যাব্রাডর রিট্রিভার
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ‘৭৭৭ চার্লি’ (777 Charlie) নামে দক্ষিণ ভারতের একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে সিনেমা হলে। এই সিনেমায় একজন মানুষ ও কুকুরের সম্পর্ককে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ছবিতে দেখানো হয়েছে যে কীভাবে কুকুরটি (Dog) এসে মানুষটির জীবনকেই বদলে দেয়। পোষ্যকে দত্তক নেওয়ার গুরুত্ব নিয়েও দুর্দান্ত বার্তা দিয়েছে এই ছবিটি। এর মাধ্যমে বহু রাস্তার কুকুরের জীবন বাঁচানো সম্ভব, তাও দেখানো হয়েছে। এককথায় বাড়িতে পোষ্য রাখার ভালো দিকগুলিও দেখানো হয়েছে সিনেমাতে।
কিন্তু এই সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই এক অদ্ভুত ট্রেন্ড দেখা যায়। এই সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুরের চাহিদা বাড়তে দেখা যায়। এর চাহিদা বাড়ার ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই এর দামও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ল্যাব্রাডর (Labrador) প্রজাতির কুকুরের দাম ৯ হাজার টাকা থেকে এক ধাক্কায় বেড়ে ১২-১৩ হাজার টাকা হয়েছে।
বাড়িতে পোষ্য রাখতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে বিভিন্ন পোষ্যের মধ্যে অনেকেই কুকুরকে বেশি পছন্দ করে থাকেন। কিন্তু শুধুমাত্র সিনেমার জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির কুকুরের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি অনেক পশুপ্রেমীরাই এটিকে ভালো চোখে দেখছেন না।
আরও পড়ুন: খাঁচা গলে বাইরে শিম্পাঞ্জি, তারপর...?
এমনই এক পশুপ্রেমী দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, সিনেমাটি সমাজে এক বিপরীত প্রভাব ফেলেছে এবং '৭৭৭ চার্লি' পর্দায় আসার পর থেকেই হঠাৎ ল্যাব্রাডর কুকুরের চাহিদা বেড়েছে। ফলে সিনেমাটির প্রধান উদ্দেশ্যই যেন হারিয়ে গিয়েছে। এই কুকুরের চাহিদা এতই বেড়ে গিয়েছে যে শহরে মানুষ এখন বেআইনিভাবে ব্রিডারদের থেকে এই প্রজাতি কিনছেন। তিনি আরও জানান, মাঙ্গালুরুতে (Mangaluru) সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র ল্যাব্রাডর কুকুর নিতেই আগ্রহী। এত চাহিদার ফলে কুকুর স্থানীয়ভাবে পাওয়া না গেলে, অন্য শহর থেকেও আনানো হচ্ছে।
ওই পশুপ্রেমীর মতে, কীভাবে রাস্তার সারমেয়কেও পোষ মানানো যায় ও রাস্তার তাদের পোষ্য করার একটি দারুণ গল্প সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই সিনেমার মাধ্যমে। কিন্তু মানুষ এটিকে অন্যভাবে নিয়েছে। ফলে আজ এই পরিণতি।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার! সটান বদলি আইএএস দম্পতি, স্বামী গেলেন লাদাখ, স্ত্রী অরুণাচলে
এর আগেও দেখা গিয়েছিল যে ভোডাফোনের বিজ্ঞাপনে পাগ (Pug) প্রজাতির কুকুরকে ব্যবহার করার ফলে তখনও ওই প্রজাতির কুকুরের চাহিদা ও দাম দুইই বৃদ্ধি পেয়েছিল। অন্যদিকে লকডাউনের সময় দেখা গিয়েছিল, মানুষ নিজেদের একঘেয়েমিতা কাটাতে বাড়িতে পোষ্য রাখতে শুরু করছে। আবার লকডাউন শেষ হলে তারা পোষ্যদের নয় রাস্তায় ছেড়ে দিচ্ছে, নয় অন্যদের দিয়ে দিচ্ছে। ফলে মানুষ নিজেদের স্বার্থের জন্য এমন কাজ করায় পশুপ্রেমীরা এই বিষয়টির নিন্দা করেছেন। তাঁদের আক্ষেপ, মানুষের এমন অমানবিক আচরণের জন্য নিরীহ জীবজন্তুদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।