মোদি জমানায় বদলে গেছে বারাণসীর চেহারা....
বারাণসী (সংগৃহীত ছবি)
শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, বারাণসী থেকে ফিরে: কথাতেই রয়েছে ‘গঙ্গার পশ্চিমপাড় বারাণসীর সমান’। ভারতবর্ষে এই পুণ্যভূমির গুরুত্ব এতটাই যে বারাণসীকে (Varanasi) দেশের ‘আধ্যাত্মিক রাজধানী’ বলা হয়। গ্রীসের মিউজিয়ামে আজও উল্লেখ রয়েছে যে বারাণসীই হল পৃথিবীর প্রাচীনতম শহর। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বারাণসীতে (Varanasi) পা পড়ল এক সন্ধ্যাবেলায়। গাড়ির চালকও বাঙালি, পেশার টানে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছেন বারাণসীতে। স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এই নগর এখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। মোদি ক্ষমতায় আসার পরেই ব্যাপক উন্নয়ন চলছে শহরে। আমাদের প্রথম গন্তব্য দশাশ্বমেধ ঘাট। দশাশ্বমেধ ঘাট যাওয়ার রাস্তায় চারচাকা গাড়ির অনুমতি নেই। তাই প্রায় ১ কিমি দূর থেকেই হাঁটা শুরু করলাম। সমস্ত ভিড়ই দেখলাম মিশছে দশাশ্বমেধ ঘাটে।
গঙ্গা আরতির সময় এই ঘাট সেজে ওঠে প্রার্থনা, দেবতাদের স্তোত্র, আধ্যাত্মিকতা, ভক্তিভাব,পবিত্রতার এক মেল বন্ধনে। তরুণ পুরোহিতদের ছন্দ ও তাল মিলিয়ে আরতি সত্যিই টানে দেশের তীর্থযাত্রী ও ভক্তদের। বালক থেকে বৃদ্ধ সকলের কপালে মহাদেবের হলুদ তিলক। ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতার এমন নগরী দেশে হয়তো আর একটাও, নেই তাই আধ্যাত্মিক রাজধানী (Varanasi)নামকরণ একেবারে সার্থক।
পরের দিন আমরা বের হলাম নৌকো করে গঙ্গার ঘাট পরিদর্শনে। এদিন গাড়ির চালক অবশ্য ছিল স্থানীয়। তার কথা মতোই নৌকো যাত্রা করার জন্য আমরা বাছলাম নমো ঘাটকে। যাত্রা শুরু হল নমো ঘাট থেকে। নমো ঘাটের বয়স খুব বেশি নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দিতা করেন বারাণসী আসন থেকে। তারপরেই নির্মাণ করা হয় এই ঘাট। নমো ঘাটে প্রতিদিনই চলে সাংস্কৃতিক উৎসব। আলোর মালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুরো নমো ঘাট। নমো ঘাট থেকে দশাশ্বমেধ ঘাট পর্যন্তই নৌকো পৌঁছাতে পারল সেদিন। গঙ্গা আরতি চলার কারণে গঙ্গাতেও দেখলাম যানজট। তাই আবার পিছন দিকে ফেরা। তীর্থযাত্রা ও পর্যটন একসঙ্গেই সম্পন্ন হতে পারে বারণাসীতে (Varanasi)। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নতুন কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে নাম কাশী-তামিল সঙ্গম।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।