বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই...
সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি হিসেবে শুক্রবারই ছিল এনভি রামানার (NV Ramana) শেষ দিন। এদিন পাঁচটি মামলার রায়দান করার কথা তাঁর। দিনের শুরুতেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি (Electotal Freebies) নিয়ে আদালতে গড়ানো মামলার রায়দান করেন তিনি। মামলাটি নয়া বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি (CJI)। যেহেতু এদিন ছিল সুপ্রিম কোর্টে রামানার শেষ দিন, তাই এদিন পাঁচটি মামলার রায়দানই প্রদর্শন করা হয়েছে অনলাইনে।
ক্ষমতায় আসতে নির্বাচনের আগে বেবাক প্রতিশ্রুতি দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে থাকে নিখরচায় নানা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। বিষয়টিকে ‘গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশের শীর্ষ আদালতও। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সম্প্রতি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, জনকল্যাণ কর্মসূচি আর বিনামূল্যে দেওয়া এক বিষয় নয়। বিজেপি ঘনিষ্ঠ জনৈক অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, যাঁরা বিনামূল্যে পাচ্ছেন, তাঁরা তা পেতে চান। আবার অনেকে বলেন, তাঁদের করের টাকা প্রকৃত উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন : খয়রাতি ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে বিভাজন রেখা প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের
এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে গণতন্ত্রে প্রকৃত ক্ষমতা রয়েছে ভোটারদের হাতে। ভোটাররা দল এবং দলীয় প্রার্থীদের মূল্যায়ন করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে আমাদের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। শেষ শুনানিতে আমরা কেন্দ্রকে এ ব্যাপারে সর্বদল বৈঠক ডাকতে বলেছিলাম। আদালত সূত্রে খবর, এই মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা জানিয়েছিল, এগুলি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নয়, এগুলি জনকল্যাণ মূলক প্রতিশ্রুতি। ২০১৩ সালের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, বিনামূল্যে টিভি কিংবা ল্যাপটপ দেওয়া দুর্নীতি নয়। এটা বরং রাজ্যবাসীর জন্য রাজ্যের জনকল্যাণমূলক নীতি। এ নিয়ে বিতর্কের প্রয়োজন আছে বলে এদিনও জানিয়েছে আদালত। আদালতের মতে, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হল, কেন সর্বদল বৈঠক হচ্ছে না, কেন্দ্রই বা কেন বৈঠক ডাকছে না?