img

Follow us on

Wednesday, Nov 27, 2024

Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেসের ইস্তাহারে মিথ্যার বেসাতি, মার্গ দর্শন কোথায়?

Congress Manifesto: কংগ্রেসের ইস্তাহারে 'মিথ্যা'র প্রতিশ্রুতি, সমাধানের পথ কই?

img

(বাঁদিক থেকে) সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও রাহুল গান্ধী। ছবি— সংগৃহীত।

  2024-04-09 13:50:09

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত পর্বে দীর্ঘ সময় দেশ শাসন করেছে কংগ্রেস। ফি বার নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে নিয়ম করে প্রকাশ করেছে ইস্তাহারও। তবে সেসবই মিথ্যার ফুলঝুরি। কংগ্রেসকে বিশ্বাস করে হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছে জনতা। এতে লাভ হয়েছে একটা। বছরের পর বছর রাজত্ব করে গিয়েছে গান্ধী পরিবার। বাবার পর মেয়ে, মেয়ের পর তাঁর ছেলে... রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা। তবে তাঁদের প্রত্যেকের টিকি বাঁধা ছিল গান্ধী পরিবারের কাছে। তাই দীর্ঘ সময় কংগ্রেস চালকের আসনে বসলেও ফুলেফেঁপে উঠেছেন নেতারা। দেশ এগোয়নি এক পা-ও।

মানুষের বিশ্বাস হারিয়েছে কংগ্রেস (Lok Sabha Election 2024)

বারংবার ঠকতে ঠকতে কংগ্রেসের ওপর বিশ্বাসটাই হারিয়ে ফেলেছেন দেশবাসী। তাই ২০১৪ সালে দেশের চালকের আসনে মানুষ বসায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএকে। যে সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালে মানুষ কংগ্রেস নয়, ভরসা করেছে বিজেপির ইস্তাহারের ওপর। কারণ তার আগে প্রত্যেকবার কংগ্রেসের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেওয়া হলেও, তা কীভাবে পূরণ করা হবে তার কোনও দিশা দেখানো হয়নি। কখনও তোষণের রাজনীতি, কখনও আবার জোটের নামে ঘোঁট পাকিয়ে কংগ্রেস শাসন করে গিয়েছে দেশ। ভোট সর্বস্ব রাজনীতি (Lok Sabha Election 2024) করতে গিয়ে ভারতকে কীভাবে জগৎ সভায় ফের শ্রেষ্ঠ আসনে বসানো যায়, তা ভাবতে ভুলেই গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। যার জেরে কংগ্রেসের আমলে রাশিয়ার বাইরে ভারতকে সেভাবে কেউ চিনত বলে মনে হয় না। এর এক এবং একমাত্র কারণ, কীভাবে বছরের পর বছর ক্ষমতায় থাকা যাবে তা নিয়ে ভেবেছে কংগ্রেস, দেশের কী হবে, গরিবের কী হবে তা কখনও ভাবেননি ইন্দিরা গান্ধী কিংবা তাঁর উত্তরসূরিরা। যার জেরে ক্রমেই পিছিয়ে পড়েছিল দেশ।

ইস্তাহার রয়েছে, দিশা নেই

আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে কংগ্রেস যে ইস্তাহার প্রকাশ করেছে, তার পোশাকি নাম ‘ন্যায়পত্র’। তাতে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদহীন স্বাস্থ্যবিমা, অগ্নিপথ তুলে দেওয়া, জাতগণনা সহ গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিমার টাকা কোথা থেকে আসবে, অগ্নিপথ কীভাবে তোলা যাবে, বিকল্পই বা কী, এত বড় একটা দেশে জাতগণনাই বা কীভাবে সম্ভব, তার কোনও দিশা নেই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির ‘ন্যায়পত্রে’।  দেখেশুনে মনে হচ্ছে, কংগ্রেস জনমোহিনী ইস্তাহার তৈরি করেছে তো বটে, কিন্তু, বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই। গোটাটাই আষাঢ়ে গল্প ছাড়া কিছুই নয়। এই সমস্ত ফাঁকা প্রতিশ্রুতি কেবলমাত্র যে এক শ্রেণির ভোটারকে কেন্দ্র করেই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট— দেশের উন্নতি, প্রগতি রসাতলে যাক, জনমোহিনীর ধোঁয়া দিয়ে নিজেদের আখেরেটা গোছাতে পারলেই হল।

কংগ্রেসের পদাঙ্ক অনুসরণ তৃণমূলেরও

কংগ্রেসের ডিএনএ থেকে জন্ম নেওয়া তৃণমূলের দশাও তাই। সর্বভারতীয় দল বলে নিজেদের দাবি করলেও, আদতে ক্ষমতায় রয়েছে কেবল পশ্চিমবঙ্গে। ক্ষমতায় থাকতে কংগ্রেসের মতো তারাও বেছে নিয়েছে সস্তার রাজনীতি। তাদেরও লক্ষ্য হল, দান-খয়রাতি এবং তোষণের রাজনীতি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে যেন-তেন-প্রকারেন। এই হাটুরে রাজনীতি (Lok Sabha Election 2024) করতে গিয়ে কেন্দ্রের দেওয়া সরকারি নানা প্রকল্পের টাকা অকাতরে বিলানো হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কিংবা ‘শ্রী’-যুক্ত (যুবশ্রী ইত্যাদি) কোনও প্রকল্পে। খয়রাতির পয়সা পেয়ে জনগণও উজাড় করে ভোট দিয়েছেন তৃণমূলকে। যার জেরে আক্ষরিক অর্থেই ধরাকে সরা জ্ঞান করে কার্যত লুটে খাওয়ার রাজনীতি করে গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের অনেক নেতাই। সামান্য মাছ বিক্রেতা থেকে কেউ বনে গিয়েছেন কোটিপতি, কেউ আবার কালীঘাটের কমবেশি ৪০টি প্লটের মালিক হয়েছেন স্রেফ ‘রাজনীতি’ করে। রাজ্যে শিল্প নেই। বাম রাজত্বের পর যে ক’টা কলকারখানায় সাতসকালে ভোঁ বাজত, শ্রমিক-কর্মচারিরা ডিউটি ধরতে ছুটতেন, তৃণমূলের শাসনে সেক’টিতেও তালা ঝুলেছে। কলকারখানার চিমনি থেকে ধোঁয়া বের না হওয়ায় হয়তো দূষণ খানিক কমেছে, তবে পেটে গামছা দিয়ে পরিবার নিয়ে পড়ে ছিলেন শ্রমিকরা।

(ঢপের) চপ শিল্প

মোদি সরকার গত পাঁচ বছর ধরে রেশনে মুফতে চাল দিচ্ছে, তাই দু’বেলা খাবার জুটছে এই সব পরিবারে। না হলে যে কী হত! অবশ্য রোজগারের (Lok Sabha Election 2024) উপায় বের করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং। তাঁর পরামর্শ, চপ শিল্প করুন। তিনি আউড়ে গিয়েছেন, সেই অমোঘ সত্যবাণী, কোনও কাজই ছোট নয়। হক কথা। তবে কেন তাঁর দলের নেতারা রাজনীতি করে ‘কামাই’ করছেন? কেন চপের দোকান খুলছেন না? আর সবাই (ঢপের) চপ শিল্প চালালে ক্রেতাই বা জুটবে কোত্থুকে? তার দিশা নেই এই সর্বজ্ঞের কাছে। তাই বাংলার অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। ঘরে ঘরে শিক্ষিত বেকার। হা-চাকরি দশা। বিরাট বিরাট ডিগ্রিধারীরাও পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে ভিন রাজ্য চলে যাচ্ছেন সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে!

আরও পড়ুুন: “কংগ্রেস গরিবদের উপোসে রেখে জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি”, তোপ যোগীর

ডাবল ইঞ্জিন সরকার

এবার তাকানো যাক মুদ্রার উল্টো পিঠে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে উন্নয়নের বিজয়রথ টেনে নিয়ে যাচ্ছে ডাবল ইঞ্জিন সরকার। পদ্ম-ইস্তাহারে মিথ্যার বেসাতি নেই, রয়েছে নির্ভেজাল আশ্বাস, নিশ্চিত দিশা। যার জেরে গত ১০ বছরে দেশ এগিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতিতে। এখন আর মানুষকে পিঁপড়ের ডিম খেতে হয় না। খিদের জ্বালায় কাঁদতে থাকা ছেলেকে ভোলাতে এখন আর দেশের কোনও মাকে হাঁড়িতে কেবলই জল গরম করতে হয় না। রেশনে পাওয়া চালেই হয় ভাত। কাঠের জ্বালের বদলে হেঁসেলে চলে এসেছে সস্তার উজালা গ্যাস। এখন দ্রুত রান্না সেরে, ছেলে মেয়েকে খাইয়ে স্কুলে পাঠিয়ে ভারতের কোনও এক অখ্যাত গাঁয়ের বধূও হাতে ফাইভ জি মোবাইল নিয়ে চন্দ্রাভিযানের লাইভ শো দেখেন।

ভারত যে এখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে! পূরণ হয়েছে আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন (Lok Sabha Election 2024)!

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

 

Tags:

bjp

congress

Madhyom

bangla news

Bengali news

Lok Sabha Election 2024

news in bengali

Election 2024

congress manifesto

 Lok Sabha

pm modi. tmc


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর