Sivananda Baba: মহাকুম্ভে হাজির শিবানন্দ বাবা, কেমন জীবনধারণ? জানালেন শিষ্যরা
শিবানন্দ বাবা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় যোগ দিয়েছেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত, সাধু এবং সন্ন্যাসী। তবে তাঁদের মধ্যে একজন রয়েছেন যিনি গত ১০০ বছর ধরে প্রতিটি কুম্ভমেলায় (Mahakumbha 2025) যোগ দিয়েছেন। তিনি হলেন ১২৫ বছর বয়সি পদ্মশ্রী প্রাপক বিখ্যাত যোগ অনুশীলনকারী স্বামী শিবানন্দ বাবা। প্রতিবারের মতো এবারও তিনি মহাকুম্ভে যোগ দিয়েছেন।
যোগ এবং তপস্যার ওপর ভিত্তি করে স্বামী শিবানন্দের (Sivananda Baba) সরল জীবনযাপন লক্ষ লক্ষ মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস। জানা গিয়েছে, বাবা একজন ভিক্ষুক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবার বয়স যখন চার বছর, তখন তার পরিবার তাঁকে সাধু ওঙ্কারানন্দ গোস্বামীর কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। সাধুর (Mahakumbha 2025) অনুরোধে, স্বামী শিবানন্দ ৬ বছর বয়সে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ফিরে আসেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত, তিনি ফিরে আসার পর তাঁর বোন মারা যান এবং এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছিলেন। এক চিতায় তিনি দাহ করেন তাঁর বাবা-মাকে। এসবের পরে তাঁর একমাত্র অভিভাবক হয়ে দাঁড়ান ওঙ্কারানন্দ গোস্বামীই।
আরও পড়ুন: দলিত পরিবারকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা! ৫ জন গ্রেফতার
বাবার জীবন আগাগোড়া অতি সাধারণ। বারাণসীর (Mahakumbha 2025) কবীর নগরের বাসিন্দা শিবানন্দ বাবা সেদ্ধ খাবার খান, নুন-তেল ছাড়া। দুধ বা দুধের সমস্ত প্রোডাক্ট তিনি সযত্নে এড়িয়ে চলেন। তাঁর শিষ্যরা জানান, চার বছর বয়স পর্যন্ত বাবা কখনও দুধ, ফল বা রুটি দেখেননি। এই সব জিনিসগুলিই তাঁর জীবনধারাকে বদলে দিয়েছিল। তিনি অর্ধেক খাবার খান, রাত ৯ টার মধ্যে ঘুমান, সকাল ৩ টায় ঘুম থেকে ওঠেন এবং সকালটা যোগব্যায়াম এবং ধ্যান করে কাটান। তিনি দিনের বেলা ঘুমোন না। রোজই থাকে ধ্যান, জপ এবং যোগাসনের জন্য সময়। তিনি আরও জানান, চণ্ডীগড়ে একটি ভবনের ষষ্ঠ তলায় লিফট থাকা সত্ত্বেও, বাবা প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে উঠতেন।
শিষ্যরা বাবার গভীর আধ্যাত্মিক ক্ষমতা (Mahakumbha 2025) সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, যখন একজন ভক্ত আসার পরে ক্ষুধার্ত ছিলেন তখন বাবা মাটির পাত্রে ক্ষীর পরিবেশন করেন। তবে ক্ষীর অল্প থাকায় বাবা তাকে খেয়ে যেতে উৎসাহিত করেন। কিন্তু, তিনি ক্ষীর শেষ করতে পারেননি। তখন ওই ভক্ত বাবার পায়ে পড়ে চিৎকার করে বললেন, "বাবা, আমি আপনাকে বুঝতে পারিনি।" একজন ভক্ত স্বামী শিবানন্দকে আবেদন ছাড়াই পদ্মশ্রী দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। স্বামী শিবানন্দের শিষ্যরা তাঁর সরলতা এবং ভক্তিমার্গের কথা তুলে ধরেন। তিনি কোনও দান গ্রহণ করেন না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।