মঙ্গলবার উদ্ধবদের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ।
1296954-supreme-court
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসল শিবসেনা (Shiv Sena) কারা? সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার নির্বাচন কমিশনকেই দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) এবং একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) এই লড়াইয়ে রেফারির ভূমিকায় থাকবে কমিশন। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শিবসেনার প্রতীক নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারবে কমিশন। কে প্রকৃত শিবসেনা, তা বাছাইয়ের দায়িত্ব যাতে নির্বাচন কমিশন না পায়, সে জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের গোষ্ঠী।
আরও পড়ুন: ইয়াকুবের কবর সৌন্দর্যায়ন, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস শিন্ডের
মঙ্গলবার উদ্ধবদের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রকৃত শিবসেনা হিসেবে স্বীকৃতি এবং শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক প্রদানের যে দাবি জানিয়েছে শিন্ডে শিবির, তা যাতে কমিশন না শোনে, সেই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিল উদ্ধব শিবির। মঙ্গলবার সেই পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, "নির্বাচন কমিশনে সওয়াল-জবাবে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না বলে নির্দেশ দিচ্ছি আমরা।" যে বেঞ্চে আছেন বিচারপতি এমআর শাহ, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারী, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসীমা।
আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উদ্ধব, তাঁর শিক্ষা পাওয়া প্রয়োজন, জানালেন শাহ
মঙ্গলবার শুনানির সময় উদ্ধব পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল দাবি করেন, বহিষ্কৃত হওয়ার পরে শিবসেনার প্রতীক প্রদানের দাবি জানিয়ে কমিশনের কাছে যেতে পারেন না শিন্ডেরা। শিন্ডে পক্ষের আইনজীবী নীরজ কিষান কৌল পাল্টা দাবি করেন, কমিশনের কাছে শিন্ডে শিবিরের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ১.৫ লক্ষ শিবসেনা সমর্থক। ভোটের আগে দুই শিবিরের সমস্যা হয়েছিল। বিধানসভায় আস্থা ভোটের একদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন উদ্ধব। এ থেকে ধরেই নেওয়া যায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তাই উদ্ধবদের পিটিশনের কোনও ভিত্তি নেই।
একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা বিধায়কদের একাংশের বিদ্রোহের জেরে মহারাষ্ট্রে তিন মাস আগেই উদ্ধভ ঠাকরের সরকারের পতন হয়েছে। তারপর বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে গত ৩০ জুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শিন্ডে। শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহ পরই, সংযুক্তিকরণ, বহিষ্কারের মতো বিষয়গুলিতে একনাথের বিরুদ্ধে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় উদ্ধব শিবির। সেইসময় উদ্ধবের আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, শুধুমাত্র অপর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিশে গেলে সংবিধান দশম তফসিলের আওতায় শিবসেনা থেকে বহিষ্কারের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন শিন্ডেরা। যে বিষয়টি নিয়েও মঙ্গলবারও সওয়াল-জবাব হয় আদালতে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।