জয়পুর এক্সপ্রেস তখন পালঘর স্টেশন দিয়ে যাচ্ছিল, চলন্ত ট্রেনে আচমকা নিজের স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালিয়ে দিলেন চেতন সিং...
জয়পুর এক্সপ্রেস পরে পৌঁছায় মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশনে (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেল যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে তাঁদের ওপর। সেই রক্ষকই হয়ে উঠল ভক্ষক। রেল সুরক্ষা পুলিশ (RPF Jawan)-এর এক কর্মীর আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে প্রাণ গেল চলন্ত ট্রেনে চার যাত্রীর। নিহত চার জনের মধ্যে রেল পুলিশের (RPF Jawan) এক সাব-ইনস্পেক্টরও রয়েছেন। সূত্রের খবর, ট্রেনটির প্যান্ট্রি কারের এক কর্মীরও মৃত্যু হয়েছে গুলি চালনার ঘটনায়। সোমবার সকালেই এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, রাজস্থানের জয়পুর থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল জয়পুর এক্সপ্রেস। তখনই ঘটে এই গুলি চালনার ঘটনা। ট্রেনের গায়ে, জানলার কাচে গুলির দাগ রয়েছে।
ভারতীয় রেল আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়েছে এই ঘটনায়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার জয়পুর এক্সপ্রেস ভোর ৫টা ২৩ মিনিটে পালঘর স্টেশন দিয়ে যাচ্ছিল। সে সময়ই হঠাৎই নিজের স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন আরপিএফের ওই জওয়ান। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই রেল পুলিশ (RPF Jawan) কর্মীর নাম চেতন সিং। জানা গিয়েছে, জয়পুর এক্সপ্রেসের বি ফাইভ কোচে ডিউটি করছিলেন চেতন সিং। গুলি চালনার ঘটনায় মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা জয়পুর এক্সপ্রেসে। গুলি করে চার জনকে হত্যা করার পরেই ট্রেনের চেন টেনে নামার চেষ্টা করেন ওই রেল পুলিশ কর্মী। জানা গিয়েছে, পালঘরের পরের স্টেশন দাহিসারে তিনি ঝাঁপ দিয়ে নামার চেষ্টা করতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র।
গুলি চালনার কারণ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, নিহত আরপিএফ অফিসার তাঁর পূর্বপরিচিত ছিলেন। তবে নিহতের সঙ্গে বিবাদ ছিল না অভিযুক্তের (RPF Jawan)। পুলিশ অবশ্য প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি (RPF Jawan)। তার অসুস্থতার কারণে বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চাইছিলেন। কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ারও পরামর্শও দিয়েছিলেন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে অবশ্য চেতন নিজেই জানান, সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন তিনি। তারপরেই এই পরিণতি। জয়পুর এক্সপ্রেসকে এরপর বরিভালি স্টেশনে দাঁড় করানো হয়। সেখানে দেহগুলিকে নামানো হয়। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের দেহগুলি স্থানীয় বাবাসাহেব অম্বেদকর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বরিভালি স্টেশনে হাজির হয়েছেন জিআরপির আধিকারিক রবীন্দ্র শিসভে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।