মোদি ও গান্ধীর জীবনে রয়েছে আধ্যাত্মিকতার প্রতিফলন, জানালেন উপরাষ্ট্রপতি
উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘গত শতাব্দীর মহাপুরুষ গান্ধী, বর্তমান শতকের যুগপুরুষ মোদি’’। সোমবার ঠিক এ কথাই বলতে শোনা গেল উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) মতে, ‘‘মহাত্মা গান্ধী ব্রিটিশদের দাসত্ব থেকে মাতৃভূমির স্বাধীনতা এনেছিলেন। সত্যাগ্রহ এবং অহিংসা নীতিকে সম্বল করে। অন্যদিকে ভারতের সফলতম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদেরকে সেই উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে আমরা সর্বদাই যেতে চেয়েছি।’’ প্রসঙ্গত জগদীপ ধনখড় সোমবার বক্তব্য রাখেন জৈন ধর্মের প্রচারক ও দার্শনিক শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজি জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে।
উপরাষ্ট্রপতি (Jagdeep Dhankhar) এদিন শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজির জীবন ও দর্শন নিয়েও আলোকপাত করেন তাঁর বক্তব্যে। প্রসঙ্গত, জৈন ধর্মের অন্যতম প্রচারক শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজি ১৮৬৭ জন্মগ্রহণ করেছিলেন গুজরাটে। ১৯০১ সালে তাঁর প্রয়াণ ঘটে। জৈন ধর্মের প্রচারক এবং মহাত্মা গান্ধীকে আধ্যাত্মিক দর্শনদানের জন্য তাঁর বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। মহাত্মা গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুজনেরই জীবনে যে শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজির প্রভাব রয়েছে, সে কথাও নিজের বক্তব্যে উল্লেখ করেন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি আরও জানান যে দুজনেরই জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে শ্রীমাদ রাজচন্দ্রজির দর্শন।
নাম না করে এদিন বিরোধীদেরও নিশানা করেন উপরাষ্ট্রপতি (Jagdeep Dhankhar)। তিনি বলেন যে কিছু শক্তি ভারতের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে। তাদের সহ্য হচ্ছে না ভারতের এমন উন্নতি। উন্নয়নে বাধা দেওয়া এই শক্তিগুলি একত্রিত হয়েছে। যখনই দেশের ভাল কিছু হয় তখনই তারা বিরোধিতায় সামিল হয়। এটা হওয়া উচিত নয়। এর পাশাপাশি তিনি (Jagdeep Dhankhar) বলেন যে আশেপাশে আপনারা যে সকল দেশগুলিকে দেখছেন তাদের ইতিহাস রয়েছে ৩০০ বছরের ৫০০ বছরের কী খুব বেশি হলে ৭০০ বছরের। কিন্তু ভারতবর্ষের ইতিহাস রয়েছে ৫ হাজার বছরের।
'শ্রীমাদ রাজচন্দ্র মিশন ধরমপুর' হল একটি বিশ্বব্যাপী মিশন। আধ্যাত্মিকতার দ্বারা সমাজ পরিবর্তনের কাজ করে এই মিশন। মিশনের আন্তর্জাতিক সদর দফতর রয়েছে গুজরাটে। মিশনের বেশ কতগুলো সৎসঙ্গ সেন্টারও রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শ্রীমদ রাজচন্দ্রা ইয়ুথ গ্রুপস এবং শ্রীমৎ রাজচন্দ্রা ডিভাইন টাচ সেন্টার। জানা যায়, শ্রীমদ রাজচন্দ্রাজি এবং মহাত্মা গান্ধীর প্রথম দেখা হয়েছিল মুম্বইতে ১৮৯১ সালে। সে সময়ে ইংল্যান্ড থেকে ব্যারিস্টার হয়ে দেশে ফিরেছিলেন গান্ধী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।