Male Contraceptive Pill: বিজ্ঞানীদের মতে, এই আবিষ্কার একটা বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে গোটা বিশ্বে।
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম্ভবকে সম্ভব করে তাক লাগানো এক আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। এযেন যুগান্তকারী আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের! এবারে তৈরি করা হল পুরুষের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল। সাধারণত মহিলাদের জন্যই এই গর্ভনিরোধক পিল পাওয়া যায়। কিন্তু এবার থেকে বাজারে মিলবে পুরুষ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলও। বিজ্ঞানীদের মতে, এই আবিষ্কার একটা বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে গোটা বিশ্বে।
নেচার কমিউনিকেশন জার্নালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা ও গবেষণা চালানো হয় এই বিষয়ের উপর, যে কীভাবে পুরুষের স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি না করে গর্ভনিরোধক পিল তৈরি করা যায়। অবশেষে সেই লক্ষ্য পূরণ হতে চলেছে। এই পিলের ফলে তাঁর সঙ্গীর গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ করতে সফলভাবে সাহায্য করবে। ইতিমধ্যে এই পিল বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল মডেলের উপরে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই পরীক্ষার ফলাফল ভালো আসায় পরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
পুরুষদের জন্য এই সুখবরটি গতকাল বা ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতদিন শারীরিক সম্পর্কে নিরাপদ থাকতে পুরুষরা ব্যবহার করতেন কন্ডোম নয়ত ভ্যাসেকটমি। তবে এবার আরও বিকল্প হিসেবে বাজারে আসতে পারে যুগান্তকারী পুরুষ গর্ভনিরোধক পিল। যা গবেষণার বিভিন্ন স্তরে সাফল্য পেয়েছে। এই পিল শুক্রাণু নির্গমন বন্ধ করে দিয়েছে। আর এর সবচেয়ে ভালো দিক হল, এই ওষুধের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
ওয়েইল কর্নেল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে রিসার্চ টিমের অন্যতম লিডার ডঃ জোচেন বাক এবং ডাঃ লনি লেভিন দাবি করেছেন, এই আবিষ্কার যুগান্তকারী প্রমাণিত হবে ভবিষ্যতে। ২০০০ বছরেরও বেশ সময় ধরে পুরুষরা ব্যবহার করে আসছেন ভ্যাসেকটমি পদ্ধতি ও কন্ডোম। কিন্তু এই পিল পুরুষদের জন্য শুরু হয়ে গেলে এটি একটি ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ পিলের ব্যবহার পুরুষের স্বাস্থ্য ক্ষতি না করে, সঙ্গীর গর্ভধারণ রোধ করতে পারে বলে গবেষকদের দাবি।
সূত্রের খবর, বিজ্ঞানীদের কোনও পরিকল্পনা ছিল না এমন কোনও পিল বানানোর, কিন্তু হঠাৎই তাঁরা একদিন অ্যাডেনাইলাইল সাইক্লেস (sAC) নামক এনজাইম নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ও এর থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেলুলার সিগন্যালিং প্রোটিন বিচ্ছিন্ন করার জন্য চ্যালেঞ্জ নেন। এটিতে বিজ্ঞানী বাকের দুই বছর লেগেছিল। এর পর তাঁদের তৈরি করা পিলটি ট্রায়ালের সময় ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করা হয়। তখন দেখা যায় এটি শুক্রাণু নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা রাখে। দু থেকে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত শুক্রাণু নিষ্ক্রিয় থাকে। আবার নির্দিষ্ট সময়ের পর তা সক্রিয় হয়ে ওঠে। ডক্টর মেলানির মতে, গর্ভনিরোধকটি গ্রহণের ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু করে। ফলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এটি একবার বাজারে শুরু হলে পুরুষদের জন্য দারুণ সুখবর হবে।