ধামসা-মাদল নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ...
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দ্রৌপদী মুর্মু। ফাইল চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস রচনা করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi murmu)। রাষ্ট্রপতি (President) পদে জয়ী হয়েছেন তিনি। তাঁর জয়ে উল্লসিত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। এই প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের কোনও মহিলা পা রাখতে চলেছেন রাইসিনা হিলসে (Raisina Hills)। দ্রৌপদীর ঐতিহাসিক জয়ের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। তার পরেই তাঁকে নিশানা করেছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব।
রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএর প্রার্থী হয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি বিরোধী ১৭টি দলের প্রার্থী হয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। যশবন্ত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে দল ছেড়ে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হন। বৃহস্পতিবার ফল বেরিয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। এর পরেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান মমতা। শুভেচ্ছাবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত দ্রৌপদী মুর্মু অভিনন্দন জানাতে চাই। সংবিধানের আদর্শ রক্ষা করার জন্য ও গণতন্ত্রের রক্ষক হওয়ার জন্য দেশ আন্তরিকভাবে আপনাকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দেখবে। দেশের গণতন্ত্র যখন একটা সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলেছে তখন আপনার ওপরে মানুষের আশা অনেক।
আরও পড়ুন : মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র
এদিন মমতাকে কটাক্ষ করেন বিজেপির অমিত মালব্য (Amit Malviya)। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, দুই টিএমসি সাংসদ ও একজন বিধায়ক ক্রস ভোট দিয়েছেন। দুই টিএমসি সাংসদ ও ৪ জন বিধায়কের ভোট অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিরোধী ঐক্যের স্ব-নিযুক্ত সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর নিজের বিধায়কদের ওপরই রাশ টানতে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে, ভয় দেখানো সত্ত্বেও সমস্ত বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ বিধায়ক শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করেছেন।
2 TMC MPs and 1 MLA cross voted. Vote of 2 TMC MPs and 4 MLAs declared invalid. Mamata Banerjee, self appointed fulcrum of opposition unity, failed to prevail over her own legislators.
— Amit Malviya (@amitmalviya) July 21, 2022
On the other hand, despite intimidation, all BJP WB legislators backed Smt Droupadi Murmu…
">
আরও পড়ুন : দ্রৌপদীকে ভোট দিতে পারব না, মোদির দূতকে বললেন মমতা
এদিকে, দ্রৌপদীর জয়ে উল্লসিত জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, এদিকে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ধামসা-মাদল নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। রাষ্ট্রপতি পদে যশবন্তকে প্রার্থী করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর। শরদ পাওয়ার, ফারুখ আবদুল্লা এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধী রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি না হওয়ায় শেষমেশ যশবন্তকে প্রার্থী করা হয়। ভোটের ফলে দেখা যায় মুখ থুবড়ে পড়েছেন যশবন্ত। শেষ হাসি হেসেছেন বিজেপির দ্রৌপদী।