অভিযুক্ত সাধারণত ডিভোর্সি মহিলা বা যাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে এমন মহিলাদের টার্গেট করত।
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন মানুষ তাঁর জীবদ্দশায় কতবার বিয়ে করেন? সাধারণত, একবারই। কোনও কোনও মানুষ ২ বাও বিয়ে করে থাকেন। তবে এবারে এক ব্যক্তি দু-তিনটে নয়, একেবারে ১৩ জন মহিলাকে বিয়ে করে ফেললেন। এমনই এক বিরল ঘটনা দেখা গেল ভারতে। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দ্রাবাদের সাইবারবাদ (Cyberabad) এলাকায়। ব্যক্তির নাম অদপ শিবশঙ্কর বাবু (Adapa Shivshankar Babu)। তিনি বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে।
অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার বাসিন্দা তিনি। তার বয়স ৩৫ বছর। অভিযুক্ত সাধারণত ডিভোর্সি মহিলা বা যাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে এমন মহিলাদের টার্গেট করতেন। তিনি বিবাহের সাইটগুলোতে তাঁদের খুঁজতেন। বিবাহবিচ্ছেদ মহিলা যাঁরা বিবাহের সাইটে বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজতেন তেমন নারীদের তাঁর জালে ফাঁসিয়ে তাঁদের বিয়ে করতেন। এরপর ভুয়ো কাগজ তৈরি করে তাঁদের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করতেন।
আরও পড়ুন: অ্যানাকোন্ডা বনাম অ্যালিগেটরের লড়াই! ভাইরাল ভিডিও, কে জিতল?
যাঁদের সঙ্গে ওই ব্যক্তি প্রতারণা করেছেন তাঁদের মধ্যে এক মহিলা রামচন্দ্রপুরম থানায় (Ramachandrapuram police station) তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবশঙ্কর ওই মহিলার থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ও ৭ লক্ষ টাকার গহনা নিয়ে নেন। সেগুলো অনেক চাওয়ার পরেও কিছুতেই তিনি ফেরত না দিলে মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারার অধীনে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সেই মহিলা জানান, ২০২১ সালে এক ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট থেকে তাঁর পরিচয় হয় শিবশঙ্করের সঙ্গে। অভিযুক্ত তাঁকে বলেন, তাঁর বাবা-মা অনেকদিন আগেই মারা গেছেন। তিনি নামী এক কোম্পানিতে চাকরি করেন ও মাসে ২ লক্ষ টাকা বেতন পান। তিনি পেশায় একজন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। যদিও তিনি তাঁকে জানিয়েছিলেন তার আগের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। এরপর মহিলাটির পরিবার অভিযুক্তের কথায় বিশ্বাস করে তাঁর সঙ্গে বিয়ে দেন। তারপর অভিযুক্ত তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার নাম করে মহিলার পরিবার থাকে ২৫ লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু অনেকদিন হয়ে গেলেও তিনি তাঁর স্ত্রীকে বিদেশে নিয়ে যাননি। তখন সন্দেহ হলে তাঁর কাছ থেকে মহিলার পরিবার টাকা চাইতে শুরু করে। এরপরেও টাকা ফেরত না দিলে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
এরপর তাঁকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ স্টেশনে ডাকলে অন্য এক মহিলা এসে তাঁর জামিন করান। আর জানতে পারেন তিনি অন্য জায়গায় আবার বিয়ে করেছেন। এরপরেই আরও এক মহিলা শিবশঙ্করের খোঁজ করলে আসল ঘটনা জানতে পারলে পুলিশকে জানান ও পুলিশ শিবশঙ্করকে গ্রেফতার করে। যদিও সে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। এভাবেই তিনি ১৩ জন মহিলাকে ঠকিয়ে তাঁদের থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছে। এখানেই শেষ না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী হায়দ্রাবাদের এক মহিলার থেকেও ৩৫ লক্ষ টাকা নেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।