দুটি মামলায় অভিযুক্ত আফাফত আলির নির্দেশেই কাজ করতেন শরিক।
মেঙ্গালুরু বিস্ফোরণ
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস - এর আদর্শে অনুপ্রাণিত মেঙ্গালুরু (Mangaluru) অটো বিস্ফোরণের মূল হোতা। এমনকি ডার্ক ওয়েবের সাহায্যে দেশের জঙ্গি সংগঠনদের মাথাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন ওই জঙ্গি। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে কর্নাটক পুলিশের তদন্তে।
কর্নাটক পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা দাবি করেছেন, আইএস-প্রভাবিত ‘আল হিন্দ’-সহ দেশের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করতেন মেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে অভিযুক্ত মহম্মদ শরিক। দুটি মামলায় অভিযুক্ত আফাফত আলির নির্দেশেই কাজ করতেন শরিক। আরাফতের সঙ্গে আল হিন্দ মডিউলের মুসবির হুসেনের যোগাযোগ ছিল। তবে আব্দুল মতিন ত্বহা হলেন শরিকের প্রধান হ্যান্ডলার। এ ছাড়া, আরও দুতিন জনের সঙ্গেও কাজ করছেন শরিক। যাঁদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি প্রার্থী এবং প্রাপককে তলব সিবিআই- এর
ওই পুলিশ কর্তা আরও দাবি করেন, "মাইসুরুতে শরিকের ঘাটিসহ কর্নাটকের ৫টি জায়গায় হানা দিয়েছে পুলিশ। শরিকের বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও উদ্ধার করা হয়েছে। আইএস আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের বাড়িতেই বোমা তৈরি করতেন শরিক। সেই বোমা পরীক্ষা করার জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর দু’জনের সঙ্গে শিবমোগ্গার জঙ্গলে বিস্ফোরণও ঘটিয়েছিলেন।"
২০ সেপ্টেম্বর শরিকের ২ সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু শরিক পালিয়ে যান। ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে মাইসুরুতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন ওই জঙ্গি। সেখানেও চলত বোমা বাঁধার কাজ।
এবার বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তের ভার পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মেঙ্গালুরুতে এক বিস্ফোরণে একটি অটোয় আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের সামান্য শব্দও শোনা যায়। অটোর যাত্রী ও চালককে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জখম অটোচালক দাবি করেন, অটোর এক যাত্রীর ব্যাগে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফরেনসিক টিম। বিস্ফোরণের নমুনা সংগ্রহ করে তারা। পরবর্তীতে জানা গিয়েছে, ওই ব্যাগের ভিতরে ছিল একটি প্রেশার কুকার। যেটি ব্যাটারি ও বিস্ফোরকে ঠাসা ছিল।
মামলার মূল অভিযুক্ত মহম্মদ শরিকও অগ্নিদগ্ধ হন ওই বিস্ফোরণে। মেঙ্গালুরুর ফাদার মুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। এডিজিপি (আইনশৃঙ্খলা) অলোক কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মেঙ্গালুরুতে এবং একটি শিবমোগা জেলায়। দুটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং তৃতীয় মামলায় ওয়ান্টেড ঘোষণা করা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।