মেইতে সহ রাজ্যের সমস্ত জনগোষ্ঠী সুবিচার পাবে বলেও আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) অব্যাহত হিংসা। রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। হিংসার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার ব্যাপারে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে (Manipur CM) নির্দেশ দিয়েছেন শাহ। এদিন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই হিংসার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন শাহ। হিংসা থামাতে কেন্দ্র সব রকম সাহায্য করবে বলেও জানান তিনি। মেইতে সহ রাজ্যের সমস্ত জনগোষ্ঠী সুবিচার পাবে বলেও আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এক সপ্তাহ আগেও মণিপুরে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন শাহ। গত সোমবার তিনি বলেছিলেন, মণিপুরের (Manipur CM) পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। যদিও এখনও মণিপুরে কারফিউ জারি রয়েছে। রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। যে ইস্যুকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য, সে ব্যাপারে মণিপুর সরকার আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছিলেন শাহ।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভারতীয় সেনা ও মণিপুর পুলিশের টিম জঙ্গি গোষ্ঠী ক্যাম্পগুলি ঘুরে দেখেছে। দেখা গিয়েছে, সেখানে অস্ত্র রয়েছে। ওই অস্ত্রগুলি বেআইনিভাবে মায়ানমার থেকে আনা হয়েছিল। বীরেন সিংহ বলেন, অমিত শাহ জানিয়েছেন, যারা বেআইনি অস্ত্র ব্যবহার করে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তিনি জানান, এই হিংসায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের পাশে থাকার জন্য কী করতে হবে সে সংক্রান্ত একটা বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে কেন্দ্র। শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে এমন মিছিল বা কর্মসূচি গ্রহণ না করার ব্যাপারেও আবেদন করা হয়েছে। কোথাও কোনও গুজবে বা প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুুন: জঙ্গি নিশানায় কাশ্মীরের জি-২০ সম্মেলন! উপত্যকায় অভিযান এনআইএ-র
এদিকে, রবিবার মণিপুর (Manipur CM) সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিংহ জানান, মণিপুরে হিংসায় এ পর্যন্ত নিহত ৭৩ জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। জখম হয়েছেন ২৪৩ জন। তফশিলি উপজাতিভুক্ত হওয়ার দাবি জানিয়েছেন মেইতেই জনগোষ্ঠীর লোকজন। প্রতিবাদ করে কুকিরা। তার জেরে ৩ মে থেকে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে মণিপুর। তার পরের দিন মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হিংসা ছড়িয়ে পড়ে ৮টি জেলায়। মৃত্যুর পাশাপাশি জখম হয়েছেন প্রায় তিনশো বাসিন্দা। সেনা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে বহু বাড়ি, দোকান, হোটেল এবং ধর্মস্থান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করার পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। নামানো হয় সেনা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।