দুই কুকি মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো, ফের গ্রেফতার
মণিপুরের হিংসা (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৪ মে মণিপুরে (Manipur) দুই কুকি মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ২৬ সেকেন্ডের ভিডিও সামনে আসে। দুই মহিলাকে গণধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। গত বুধবারই এই ভিডিও প্রথম সামনে আসে। যদিও তার সত্যতা পরীক্ষা করেনি মাধ্যম। এরপরই নড়েচড়ে বসে মণিপুর প্রশাসন। দোষীদের কড়া শাস্তি হবে বলে ঘোষণা করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদি। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় পাঁচ অভিযুক্তকে। শনিবার এই ঘটনায় ষষ্ঠ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত নাবালক বলে জানা গিয়েছে। থৌবল জেলার এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে সব মহল থেকেই। বিবস্ত্র করা এক মহিলার বাবা ও ভাইকে খুন করার অভিযোগও উঠেছে।
পুলিশের মামলা...
পুলিশের তরফ থেকে করা মামলা অনুযায়ী, ‘‘৮০০-১০০০ সংখ্যার একটি ভিড় থৌবল জেলায় স্থানীয় গ্রামে আক্রমণ করে ৪ মে। এর পরে সেখানকার বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হতে থাকে। ওই ভিড়ের বেশ কয়েক জনের কাছে ছিল আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র।’’ এফআইআর-এ আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিবস্ত্র করা মহিলাকে গণধর্ষণের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে তাঁর ভাইকেও হত্যা করে আক্রমণকারীরা। তবে থৌবলের মতো আরও নারী নির্যাতন হয়েছে মণিপুর (Manipur) জুড়ে। যা প্রকাশ্যে আসছে ক্রমশ। জানা গিয়েছে, সাইকুল জেলায় ২১ বছর বয়সী এক মহিলা এবং তাঁর ২৪ বছরের বান্ধবীকেও একই ভাবে গণধর্ষণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিগত আড়াই মাস ধরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে মণিপুর। একাধিক জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে ১০১ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণাও করেছে। হিংসার সূত্রপাত গত ৩ মে ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর (Manipur)’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে। ওই রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত কুকিদের সঙ্গে মেইতেইদের সংঘর্ষ শুরু হয়। বাড়িঘর লুঠ, অগ্নিসংযোগ, হত্যা চলতে থাকে। দুই সম্প্রদায়েরই বহু মহিলা নির্যাতনের শিকার হতে থাকেন। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, গত ৩ মে থেকে মণিপুরে চলা হিংসায় এখনও পর্যন্ত ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।