Assam: মণিপুরে হিংসার প্রভাব অসমে! কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা?
অশান্ত মণিপুর। চলছে টহল। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির জের অব্যাহত মণিপুরে (Manipur Violence)। তাই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে এখনই চালু হচ্ছে না মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। এর আগে সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছিল, রবিবার থেকেই ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হতে চলেছে রাজ্যে। কিন্তু ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে রবিবার নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে মণিপুর সরকার। তাতেই বলা হয়েছে, আপাতত বুধবারের আগে চালু হচ্ছে না ইন্টারনেট। রাজ্যের ন’টি জেলায় বৃদ্ধি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ।
রাজ্য সরকারের তরফে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে বলা হয়েছে, মণিপুরের (Manipur Violence) ন’টি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও দু’দিনের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, কাকচিং, বিষ্ণুপুর, থৌবল, চূড়াচাঁদপুর, জিরিবাম, ফেরজওল এবং কাংপোকপি জেলায় আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর থেকেই মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে ওই জেলাগুলিতে। গত মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত মণিপুর। এ পর্যন্ত ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। চলতি মাসে মণিপুরের জিরিবামে কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। অভিযোগ, সেই সময় একদল কুকি জঙ্গি মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করে। দিন কয়েক পরে অপহৃত ছ’জনের দেহ নদীতে ভেসে আসে। প্রকাশ্যে আসে শিউরে ওঠার মতো ময়নাতদন্তের রিপোর্টও। জিরিবামের এই ঘটনার পর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরে।
আরও পড়ুন: প্রধান পর্যটন কেন্দ্রের তালিকায় নাম যোগনগরী হৃষিকেশের, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ধামীর
রবিবার অসমের (Assam) মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, মণিপুরে (Manipur Violence) যে হিংসা চলছে তার জেরে অসমের শান্তিতে প্রভাব ফেলছে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর প্রভাব পড়ছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিবেশী রাজ্যে হিংসার জেরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মণিপুর থেকে প্রায় ১২ কিমি দূরে অসমের লাখিপুর মহকুমা। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এই কথা জানান তিনি। প্রসঙ্গত গত বছরের মে মাস থেকে মণিপুরের হাজার হাজার বাসিন্দা অসমে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অনেকেই সেখানে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন। সরকারি তথ্য় অনুসারে প্রায় ৫০০০ জিরিবামের বাসিন্দা কাছাড়ে বাস করা শুরু করেছিলেন। তাদের মধ্য়ে বেশিরভাগই ফিরে যান। ৭ নভেম্বর ফের জিরবামে সংঘর্ষ শুরু হয়। তারপরই ফের বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছড়ায় মণিপুর লাগোয়া অসমের কাছাড়ে। এরপর ২০০ কিমি সীমান্ত এলাকা সিল করে দেওয়া হয়। বরাক উপত্যকায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুরের কোনও প্রভাব অসমে না পড়ে। উল্লেখ্য, অসমের কাছাড় জেলার বরাক উপত্যকা মণিপুরের জিরিবাম জেলার লাগোয়া।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।