হিংসার বলি বাংলার ছেলে রঞ্জিত যাদব...
হিংসার আগুনে পুড়ছে মণিপুর। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরকে (Manipur Violence) শান্ত করতে রাজ্যবাসীকে অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র সমর্পণ করতে শুরুও করেছিলেন মণিপুরবাসী। পরে ফের বন্ধ হয়ে যায় অস্ত্র সমর্পণের প্রক্রিয়া। কারণ গত কয়েকদিনে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে কুকি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। হামলায় এক বিএসএফ জওয়ান সহ কয়েকজন ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে। জখমও হয়েছেন অনেকে। বহু বাড়িতে নতুন করে অগ্নিসংযোগও করা হয়েছে। তার পরেই অস্ত্র সমর্পণ করতে বেঁকে বসেন মণিপুরবাসীর একাংশ। তাঁরা যে আপাতত অস্ত্র সমর্পণ করবেন না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন শাহকে।
এদিকে, ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মণিপুরের সাম্প্রদায়িক হিংসা। রবিবার সন্ধ্যায় ইম্ফলের ইরোইসেম্বা এলাকায় বছর সাতেকের এক শিশু, তার মা এবং তাঁদের প্রতিবেশী এক মহিলাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। অসম রাইফেলস বাহিনীর এক ক্যাম্পে বুলেটের স্প্লিন্টার লেগেছিল বছর সাতেকের টংসিং হ্যাংসিংয়ের মাথায়। টংসিংয়ের মা মীনা হ্যাংসিংয়ের হাতেও লেগেছিল গুলির টুকরো। অ্যাম্বুলেন্সে করে টংসিং ও তাঁর মাকে (Manipur Violence) নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন তাঁদের এক প্রতিবেশীও। পথে একদল উন্মত্ত জনতা আগুন লাগিয়ে দেয় অ্যাম্বুলেন্সটিতে। ঘটনাস্থলেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ওই শিশু সহ তিনজনের। পুলিশের তিনটি গাড়িও ধ্বংস করে দেয় জনতা। হিংসার কবলে পড়ে জখম হন পুলিশের দুই কমান্ডো। অন্য একটি গাড়িতে করে কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন এসপি।
এদিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান কুকি জনগোষ্ঠীর লোকজন। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে চারজনকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন শাহ। বাকিদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় যন্তরমন্তরে।
আরও পড়ুুন: হিসাব না দেওয়াতেই ১০০ দিনের টাকা বন্ধ, রাজ্যে এসে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
এদিকে, মঙ্গলবারও ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মণিপুর। সেই হিংসার (Manipur Violence) বলি হন বাংলার ছেলে রঞ্জিত যাদব। তিনি বিএসএফে কর্মরত ছিলেন। এদিন হিংসার জেরে গুলিবিদ্ধ হন রঞ্জিত। তার পরেই ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। ভাটপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুগিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।