Manish Sisodia: ১০ দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
মণীশ সিসোদিয়া
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হেফাজতে পাঠানো হল আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia)। সাত দিনের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। শুক্রবার দিল্লি কোর্টে মণীশের জামিনের মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে ১০ দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে ১০ দিনের পরিবর্তে তাঁকে ৭ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আবগারি নীতি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীকে (Manish Sisodia) ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সিবিআই হেফাজতে থাকার পর ৬ মার্চ জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন থেকেই তিনি তিহার জেলে ছিলেন। সিবিআইয়ের গ্রেফতারি মামলায় এদিন সিবিআইয়ের স্পেশাল আদালতে মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। যদিও সেই আবেদন এদিন শোনা হয়নি, আগামী ২১ মার্চ এই মামলার শুনানি হবে বলে আদালত জানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন:গ্রুপ সি-র ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
তবে অন্যদিকে বৃহস্পতিবার এই একই মামলায় জেলে গিয়ে দফায় দফায় জেরা করে ইডি। তারপরই বিকেলের দিকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দিল্লির বিশেষ আদালতে মণীশের (Manish Sisodia) মামলার শুনানিতে ইডি জানায়, এই দুর্নীতিতে নতুন অনেক তথ্য মিলেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে। আরও জানায়, প্রায় ২৯২ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপ ঘটেছে এই দুর্নীতিতে। ইডির আইনজীবী বলেন, “আমরা একাধিক অফিসারকে ডেকে পাঠিয়েছি। সিসোদিয়াকে হেফাজতে নিয়ে মুখোমুখি তাঁদের বসিয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই।” শুধু তাই নয়, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে আদালতে জানিয়েছে ইডি।
যদিও এদিন আদালতে মণীশের পক্ষের আইনজীবী জানান, বেআইনিভাবে তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ফলে দু’পক্ষের জওয়াল জবাব শেষে বিচারক ৭ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন।