Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই, তারপর কী ঘটল?
জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম ১২ জন মাওবাদী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল গুলির লড়াই। মাওবাদীদের (Maoist Killed) ধরতে বিশেষ অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে গুলির লড়াই।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Maoist Killed)
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ নিরাপত্তারক্ষীদের একটি যৌথ বাহিনী মাওবাদীদের (Maoist Killed) তল্লাশিতে বিশেষ অভিযান শুরু করে। বিভিন্ন জায়গায় হানা দেওয়ার পর বিজাপুরে এসে পৌঁছন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। শুরু হয় গুলির লড়াই। দু'তরফেই চলতে থাকে গুলি। তার জেরেই এখনও পর্যন্ত ১২ জন মাওবাদীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর আগে ৭ জানুয়ারি ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে মাওবাদীদের করা একটি বিস্ফোরণে শহিদ হন ৮ জওয়ান। এই আট জওয়ানের মধ্যে শহিদ পাঁচজন প্রাক্তন মাওবাদী ছিলেন। অর্থাৎ তাঁরা জীবনের একটা বড় সময় নকশাল বা মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে মতাদর্শ ছেড়ে আত্মসমর্পণ করে নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাসাগুদা থানার অন্তর্গত পুটকেল গ্রামের কাছে মাওবাদীদের দ্বারা লাগানো ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের দুই কর্মী আহত হন। পাশাপাশি, দান্তেওয়াড়া এলাকায় চলা এনকাউন্টারের সময় মাওবাদীদের গুলিতে ডিআরজি-এর এক জওয়ানও শহিদ হন।
বস্তারের আইজি কী বললেন?
বস্তারের আইজি সুন্দররাজ পি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে বস্তার অঞ্চলে ৭৯২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিল। ওই আত্মসমর্পণ করা মাওবাদী (Maoist Killed) ও স্থানীয় যুবকদের মধ্য থেকে ডিআরজি কর্মীদের বস্তার বিভাগের জন্য নিয়োগ করা হয়। যার মধ্যে ছিলেন বিস্ফোরণে শহিদ ৫ জওয়ানও। জানা গিয়েছে, ৪ জানুয়ারি গভীর রাতে ছত্তিশগড়ের দক্ষিণ আবুজমাড় এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। এই এনকাউন্টার চলাকালীন নিরাপত্তা বাহিনীর ইউনিফর্ম পরা ৪ মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন জওয়ানরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।