Chhattisgarh: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সক্রিয়তায় ছত্তিশগড়ে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে মাওবাদীরা...
ছত্তিশগড়ে আত্মসমর্পণ চার মাওবাদী নেতার। ফাইল চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পরিকল্পনা মতোই দেশে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে মাওবাদীরা। ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) কেন্দ্রীয় আধাসেনা ও রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে (Joint Mission) মাওবাদী (Maoists) কার্যকলাপ কমছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মাওবাদী নেতাদের আত্মসমর্পণের (Surrender) প্রবণতাও। সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের (Bastar) চার শীর্ষ মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করেছেন, যাঁদের প্রত্যেকের মাথার দাম ছিল মোট ৮ লক্ষ টাকা করে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বুধবার নারায়ণপুর জেলার পুলিশ সুপার প্রভাত কুমারের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেন চার মাওবাদী কমান্ডার। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক দম্পতিও। ওই চার জনের বিরুদ্ধে খুন, নাশকতা-সহ ৪০টিরও বেশি গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তবে যৌথবাহিনীর অভিযান নয়, এই সাফল্য ছত্তিশগড় ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচির সাফল্য বলে জানিয়েছেন প্রভাত। তিনি বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র বস্তার ডিভিশনে সক্রিয় আরও কয়েক জন নেতা-নেত্রী ভবিষ্যতে আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরবেন।’’
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী
ধৃতদের মধ্যে গান্ধী তাঁতি ওরফে আরব ওরফে কমলেশ (৩৫) ২০১০ সালে দান্তেওয়াড়ায় যৌথবাহিনীর উপর ভয়ঙ্কর হামলায় ৭৬ জন জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন। এদিকে মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম (৩৫) নিষিদ্ধ সিপিআই (মাও)-এর আমদাই এরিয়া কমিটির সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন (৩০) এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে কাজলও আত্মসমর্পণ করেছেন বলে খবর। উল্লেখ্য, গত বছর বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলায় মোট ৭৯২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের ফলে দেশে মাওবাদী গেরিলা বাহিনী ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এর পাশাপাশি রাজ্য স্তরে স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করাই মাওবাদী প্রভাব কমানোর মূল চাবিকাঠি। এর ফলে মাওবাদী গেরিলারা অস্ত্র ছেড়ে সাধারণ জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।