img

Follow us on

Friday, Oct 04, 2024

Supreme Court: বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলে গণ্য করার প্রয়োজন নেই, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

Marital Rape: ‘‘বৈবাহিক ধর্ষণ আইনি ইস্যুর থেকেও বেশি সামাজিক, সমাজে এর সরাসরি প্রভাব রয়েছে’’, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র...

img

বৈবাহিক ধর্ষণ ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের (ফাইল ছবি)

  2024-10-04 10:31:44

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈবাহিক ধর্ষণকে (Marital Rape) অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য একাধিক আবেদন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)। এই সমস্ত মামলার বিভিন্ন সময় শুনানিও হয়েছে, শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণও সামনে এসেছে। ঠিক এই আবহে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে হলফনামা জমা দেওয়া হল শীর্ষ আদালতে। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার সাফ জানিয়েছে, ‘ম্যারিটাল রেপ’ বা বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলে গণ্য করার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ হল, ‘‘বিয়ে হওয়ার পর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক থাকবে, এই প্রত্যাশা স্বামীর থাকতেই পারে, তার মানে এই নয় যে স্ত্রীকে কেউ তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করবে। তবে বিবাহিত না হলে ধর্ষণের অভিযোগে যে শাস্তি হয়, একজন স্বামীকে সেই শাস্তি দেওয়া ঠিক নয়। বিবাহিত মহিলাদের সুরক্ষার জন্য কেন্দ্র ইতিমধ্যেই একাধিক উপায় রেখেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।’’

বৈবাহিক সম্পর্কে সঙ্গীর কাছ থেকে যৌন সম্পর্ক নিয়ে কিছু প্রত্যাশা থাকেই

কেন্দ্র শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) আরও জানিয়েছে, যে কোনও বৈবাহিক সম্পর্কে সঙ্গীর কাছ থেকে যৌন সম্পর্ক নিয়ে কিছু প্রত্যাশা থাকেই। তাই বলে ইচ্ছের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে কোনওভাবেই জোর করতে পারেন না স্বামী। তবে এই কারণে ধর্ষণ আইনে শাস্তি দেওয়া কিছুটা বাড়াবাড়ি এবং সামঞ্জস্যহীন বলেই মনে করছে কেন্দ্র। বিবাহিত মহিলাদের উপর নিষ্ঠুর আচরণ বন্ধ করতে, গার্হস্থ্য হিংসা রুখতে আইন রয়েছে, যা যথেষ্ট সহায়ক বলে মত কেন্দ্রের।

বিষয়টা আইনি ইস্যুর থেকেও বেশি সামাজিক

এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে বর্তমানে যে ধর্ষণ বিরোধী আইন রয়েছে সেটাই যথেষ্ট। এই আইনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার হলফনামায় উল্লেখ করেছে, ‘‘এই বিষয়টা আইনি ইস্যুর থেকেও বেশি সামাজিক। সমাজে এর সরাসরি প্রভাব রয়েছে।’’ তাই বৈবাহিক ধর্ষণকে (Marital Rape) যদি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতেও হয়, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সেটা করা ঠিক নয় বলেই মনে করছে কেন্দ্র। হলফনামায় কেন্দ্র বলেছে, ‘‘সব রাজ্য ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, বিয়ে হলেই একজন মহিলার মতামতের গুরুত্ব খর্ব হয় না, তবে বিবাহিত হওয়ার পরও এই ধরনের অভিযোগ উঠলে অন্যরকম প্রভাব পড়ে।’’

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Central Government

Supreme court

bangla news

Marital rape

madhyom news

news in bengali


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর