তাঁকে খুঁজতে গত কয়েকদিনে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানায় উপকূলরক্ষী বাহিনী।
রামকৃষ্ণ সমুদ্র সৈকতে খোঁজ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী। স্বামীর সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। চোখে চোখ-হাতে-হাত। হঠাতই অফিস থেকে ফোন। কথা বলার জন্য একটু দূরে চলে যান স্বামী। জলের কাছে ছিলেন স্ত্রী। বড় বড় ঢেউ তখন আছড়ে পড়ছে পাথরের উপর। ফোন করে ফিরে এসে স্বামী দেখেন স্ত্রী নেই। তন্য তন্য করে খোঁজ চলে।
তিনদিন ধরে পুলিশ, সেনা থেকে উপকূলরক্ষী বাহিনী সবাই খোঁজ চালায়। তল্লাশি অভিযানে ব্যবহার করা হয় দুটি জাহাজ, চেতক হেলিকপ্টারও। তবু খোঁজ মেলে না। স্বামী হতাশ। এত করেও খোঁজ মিলছিল না প্রিয়তমার। তাহলে কি সে আর নেই? তলিয়ে গিয়েছে জলার তলায়? মনের কোণে উঁকি মারছিল নানান দুশ্চিন্তা। অবশেষে খোঁজ মিলল। ভাঙল মন। পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন স্ত্রী। দুজনে এখন বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)।
আরও পড়ুন: 'রাষ্ট্রপত্নী' বিতর্কে ইতি টানতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অধীর
এনএডি কোঠা রোডের সানিভায়া নাগতের রাপিরেডি সাই প্রিয়া নামে ২১ বছরের ওই মহিলা তাঁর স্বামী আপ্পালা রাজু ওরফে শ্রীনিবাসের সঙ্গে বিশাখাপত্তনমের রামকৃষ্ণ বিচে (Vizag beach) বেড়াতে গিয়েছিলেন। তখনই ঘটনাটি ঘটে। তারপর থেকেই সাই প্রিয়াকে পাগলের মতো খুঁজতে থাকেন রাজু। পুলিশ জানায়, ওই মহিলার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে স্থানীয় থানা ও উপকূলরক্ষী বাহিনী। তাঁকে খুঁজতে গত কয়েকদিনে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানায় উপকূলরক্ষী বাহিনী।
এর পরে সাই প্রিয়ার বাবা-মার কাছ থেকে খবর পেয়ে জানা যায়, স্কুলে পড়তে পড়তেই একজনের প্রেমে পড়েছিল সাই প্রিয়া। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তার কয়েকটি পোস্ট থেকে জানা যায় সাই প্রিয়া এখন বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর প্রেমিকও। কিন্তু কীভাবে সাই প্রিয়া ওখানে গেলেন তা এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, সাই প্রিয়া ২০২০ সালের জুলাই মাসে শ্রীনিবাস রাওকে বিয়ে করেন। শ্রীনিবাস হায়দ্রাবাদের একটি ফার্মেসি কোম্পানিতে কাজ করেন।