Shahi Idgah Mosque: রাম জন্মভূমির পর এবার কৃষ্ণ জন্মভূমি!
মথুরার শাহি ইদগাহ
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের পর এবারে মথুরার ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah Mosque)। জ্ঞানবাপীর বিতর্কের মাঝেই মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মামলায় এল নতুন মোড়। এবারে শাহি ইদগাহ মজসিদে (Shahi Idgah Mosque) সার্ভের নির্দেশ দিল মথুরার এক আদালত। আগামী ২ জানুয়ারি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ওই মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা করবে। ২০ জানুয়ারি ২০২৩-এর মধ্যে সার্ভের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হিন্দু সেনার তরফে দাবি করা হয়েছিল, ঔরঙ্গজেবের আমলে কৃষ্ণ জন্মভূমির উপর এই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই শনিবার সমীক্ষার নির্দেশ দিল মথুরার আদালত।
মথুরার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম। হিন্দু সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, ভগবান কৃষ্ণের জন্মভূমিতে ১৭ শতকে এই শাহি ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah Mosque) তৈরি করা হয়েছিল। এই মসজিদের অপসারণের দাবি তুলে আদালতে হিন্দু সেনার তরফে অনেকগুলি মামলা করা হয়। তার মধ্যে একটি হল, হিন্দু সেনার সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত ও সহ-সভাপতি সুরজিত সিং যাদবের করা আবেদন। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এই আবেদনে জানানো হয়েছে, ১৬৬৯-১৬৭০ সালে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে কৃষ্ণ জন্মভূমিতে কেশব দেব মন্দিরের ১৩.৩৭ একর জমিতে এই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। দিল্লির বাসিন্দা বিষ্ণু ও সুরজিত তথা হিন্দু সেনার তরফে করা ওই আবেদনে ১৯৬৮ সালে শ্রী কৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংঘ বনাম শাহি মসজিদ ইদগাহের মধ্যে করা চুক্তিকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রাপ্ত 'শিবলিঙ্গ' সংরক্ষণের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
ফলে কৃষ্ণের জন্মভূমিতে ইদগাহ (Shahi Idgah Mosque) সরানোর দাবি তুলে মামলা হয় মথুরা আদালতে। সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো এই নির্মাণ নিয়ে হওয়া মামলায় বিস্তর বিতর্কও হয়। পরে অবশেষে আজ এই মসজিদে সমীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হল মথুরা আদালতের তরফে। আদালতের আরও নির্দেশ, ওই জায়গায় সমীক্ষার পর কি তথ্য পাওয়া গেল তা আগামী ২০ জানুয়ারি আদালতে পেশ করতে হবে। এই সমীক্ষা করবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।
এর আগে অনেকটা একইভাবে জ্ঞানবাপী মসজিদের ক্ষেত্রেও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেখানে ওই মসজিদের ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিল বারাণসী আদালত। ফলে এখানেও বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের মতই সমীক্ষা (Survey) করা হবে।
উল্লেখ্য, হিন্দু সেনার এই আবেদন আগে খারিজ করে দিয়েছিল মথুরার জেলা আদালত। কারণ শাহি ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah Mosque) ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থান আইনের আওতায় আসে। ওই আইন যেকোনও উপাসনালয়ের স্থানান্তরকে নিষিদ্ধ করা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তৈরি হয়। তবে উপাসনালয়টি ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট থেকে সংশ্লিষ্ট জায়গায় থাকতে হবে। তাহলেই ওই আইন কার্যকর হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।