“ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এই ধরনের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়..."
ইউরোপিয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) শান্ত হোক। সংখ্যালঘুদের জীবন হোক সুরক্ষিত। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের (EU) পার্লামেন্ট। জাতিগত ও ধর্মীয় হিংসা বন্ধে ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে আহ্বানও জানিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট। এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, “ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এই ধরনের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটা ঔপনিবেশিক মানসিকতারই প্রতিফলন। আমরা দেখেছি, ইউরোপিয় সংসদ মণিপুর নিয়ে আলোচনা করেছে এবং একটি তথাকথিত জরুরি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।”
ইউরোপিয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টে ভারত, মণিপুরের পরিস্থিতি নামে একটি প্রস্তাব পেশ করে সোশ্যালিস্ট ও ডেমোক্র্যাটদের প্রগতিশীল জোট। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে (Manipur) জাতিগত ও ধর্মীয় হিংসা বন্ধ করার ও সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছে ইউরোপীয় সংসদ। মণিপুরের হিংসার স্বাধীন তদন্ত করার জন্য অনুমতিও চেয়েছে পার্লামেন্ট। বিবদমান সমস্ত পক্ষকে উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করতে, শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এবং উত্তেজনা প্রশমনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
Our response to media queries on the European Parliament discussing developments in Manipur:https://t.co/6jD1FE85Ns pic.twitter.com/6jqlDzoLs1
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) July 13, 2023
ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলিকেও ভারতের কাছে মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। মণিপুরে (Manipur) ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে। প্রেস বিবৃতিতে ইইউ জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্য দাবি তুলেছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মণিপুরের হিংসার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করতে দিক।
আরও পড়ুুন: “আইফেল টাওয়ারেও মিলবে ইউপিআইয়ের সুবিধা”, বললেন মোদি
হিন্দু মেইতি ও খ্রিস্টান কুকি জনজাতির মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে মাস দুয়েকেরও বেশি সময় ধরে অশান্তির আগুনে পুড়ছে মণিপুর। মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন উপত্যকায়, কুকিরা পাহাড়ি এলাকায়। মেইতিরা নিজেদের তফশিলি উপজাতিভুক্ত করার দাবি জানান। তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য। যার জেরে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি। মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।