কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত শিশুদের অধিকাংশই প্রতিষেধকহীন, এবং আক্রান্ত অঞ্চলে হাম ও রুবেলার প্রতিষেধক প্রদানের পরিমাণ জাতীয় গড়ের তুলনায় কম।
হাম
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামে (Measles) আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১২ ডিসেম্বর অবধি দেশজুড়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১০,৪১৬ জন। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। সংসদেও উঠেছে বিষয়টি।
শুক্রবার সংসদে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, "মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা (Measles) সব থেকে বেশি, ৩০৭৫। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এরপরেই তালিকায় রয়েছে ঝাড়খণ্ড। আক্রান্তের সংখ্যা ২,৬৮৩। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।" ২০২২ সালের নভেম্বরে হামের বাড়বাড়ন্ত হয় দেশজুড়ে। সবচেয়ে বেশি এই রোগ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, গুজরাট এবং কেরলে।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত (Measles) শিশুদের অধিকাংশই প্রতিষেধকহীন, এবং আক্রান্ত অঞ্চলে হাম ও রুবেলার প্রতিষেধক প্রদানের পরিমাণ জাতীয় গড়ের তুলনায় কম। এই ঘটনা অপ্রত্যাশিত নয়। অতিমারির শুরু থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্য বিশেষজ্ঞরাও বারংবার সতর্ক করেছিলেন, যাতে কোনও ভাবেই জাতীয় প্রতিষেধক প্রদানের কর্মসূচিটি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। অন্যথায় যে রোগগুলির প্রকোপ প্রতিষেধকে নির্মূল হয়েছে, তা ফের ফিরে আসবে। অতিমারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য পরিষেবা। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়।
হাম (Measles) হল মরিবিলিভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি ভাইরাল সংক্রমণ। এই ভাইরাস সবার প্রথমে রোগীর শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণ করে। কাশি এবং হাঁচির দ্বারা এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। সংক্রমিত রোগীর ব্যবহার করা জিনিসে হাত দিয়ে সেই হাত চোখে কিংবা মুখে দিলে অপর ব্যক্তির শরীরে অনাসায়ে প্রবেশ করে হামের ভাইরাস। মূলত শিশুদের এই রোগ হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দায়িত্ব হারাতে পারে ভারত? নেপথ্যে কর জটিলতা
এখনও অবধি সেই অর্থে হামের (Measles) কোন ওষুধ নেই। যত্ন এবং সুষম আহার ধীরে ধীরে সুস্থ করে তুলতে পারে রোগীকে। সচেতন না হলে নিউমোনিয়ে, ব্রঙ্কাইটিস, কাশি, পেটের গণ্ডগোল নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কাও থেকে যায়।
হাম (Measles) বা বসন্তের প্রতিকার বলতে একমাত্র টিকাকরণ। বিগত দুই বছরে করোনার জেরে হাম, রেবেলা, মাম্পসের টিকাকরণের কাজ ব্যহত হয়েছে। যার কারণে মারাত্মক ভাবে সংক্রমিত হচ্ছে এই ভাইরাস। তবে পর্যাপ্ত ভাবে যদি হাইজিনের বিষয়টা মাথায় রাখা যায় তা হলেও অনেক ক্ষেত্রে উপকার হয়।
Tags: