ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কি লিভিং ওয়েজ বেশি হবে?...
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী পাঁচ বছরের রোডম্যাপ তৈরি হয়ে রয়েছে বলে দিন কয়েক আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার জানা গেল, ২০২৫ সালের মধ্যেই ন্যূনতম মজুরি তুলে দিয়ে লিভিং ওয়েজ (Living Wage) চালু করতে চলেছে মোদি সরকার। এজন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের সাহায্যও চেয়েছে নয়াদিল্লি। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় দৈনিকে এমনই দাবি করা হয়েছে। তবে ঠিক কবে থেকে লিভিং ওয়েজ চালু করা হবে, তা জানা যায়নি ওই প্রতিবেদনটি থেকে।
প্রশ্ন হল, কী এই লিভিং ওয়েজ? মানুষের মৌলিক চাহিদা – অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার মতো বিষয়গুলির ক্রয়ক্ষমতা যাতে মানুষের তৈরি হয়, সেই পরিমাণ বেতন দেওয়াকেই লিভিং ওয়েজ (Living Wage) বলে। ন্যূনতম মজুরির পরিবর্তে লিভিং ওয়েজের ভাবনাকে সমর্থন করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনও। ন্যূনতম মজুরি হল যে পরিমাণ মাইনে দিতেই হয়। আর লিভিং মজুরি হল, মৌলিক চাহিদার জিনিসগুলি কিনতে যত টাকা লাগে, ততটা বেতন দেওয়া। প্রত্যাশিতভাবেই প্রশ্ন উঠবে, ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কি লিভিং ওয়েজ বেশি হবে? প্রতিবেদনটি থেকে জানা গিয়েছে, ন্যূনতম মজুরিতে ভারতে এখন যত টাকা বেতন দেওয়া হয়, তার চেয়ে বেশি বেতন পাওয়া যাবে লিভিং ওয়েজ চালু হলে।
কী বলছে সরকার?
সরকারের তরফে এক আধিকারিক বলেন, “এক বছরের মধ্যেই ন্যূনতম মজুরি ছাপিয়ে গিয়ে মাইনে দেওয়ার নীতি চালু হতে পারে।” লিভিং ওয়েজের ইতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরতেও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সাহায্য চাইছে কেন্দ্র। সম্প্রতি জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার গভর্নিং বডিতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতে ৫০ কোটিরও বেশি কর্মী, সংখ্যায় যাঁরা ৯০ শতাংশ, তাঁরা কাজ করেন অসংগঠিত ক্ষেত্রে। তাঁরা দৈনিক মজুরি পান ১৭৬ টাকা কিংবা তার কিছু বেশি। এই পরিমাণের ফারাক ঘটে রাজ্য থেকে রাজ্যান্তরে।
আরও পড়ুুন: হোলির রঙিন শুভেচ্ছা বাইডেনের, টাইমস স্কোয়্যারও মাতল রঙের উৎসবে
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ভারত। ২০৩০ সালের মধ্যে লিভিং ওয়েজ চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যদিও তা কার্যকরী হবে আগামী বছরের মধ্যেই। জানা গিয়েছে, মোদি সরকার ন্যূনতম মজুরি থেকে লিভিং ওয়েজ (Living Wage) চালু করতে চাইছে দেশ থেকে দারিদ্র দূর করতে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।