Jeje Lalpekhlua: রাজনীতির ময়দানে হেভিওয়েট প্রতিপক্ষকে গোল দিলেন জেজে লালপেখলুয়া
খেলার মাঠে জেজে লালপেখলুয়া।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়দান থেকে রাজনীতিতে সগর্বে পদার্পন করলেন জেজে লালপেখলুয়া (Jeje Lalpekhlua)। এক সময় জাতীয় দলে স্ট্রাইকিং লাইনে সুনীল ছেত্রীর পাশাপাশি তিনি ছিলেন বিশ্বস্ত সৈনিক। কলকাতাতেও লাল হলুদ, সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে দাপটের সঙ্গেই খেলেছেন জেজে। চেন্নাইয়িনের হয়ে দু’বার জিতেছেন আইএসএল। মোহনবাগানের হয়ে আই লিগ জয়েরও অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই জেজে লালপেখলুয়া এ বার মিজোরামে বিধায়ক (Mizoram Election) হয়ে গেলেন।
বাংলাতেও মনোজ তিওয়ারি, অশোক ডিন্ডা, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়েরা রয়েছেন, যাঁরা খেলাধুলোর জগত থেকে রাজনীতিতে এসেছেন। সিকিম থেকে রয়েছেন বাইচুং ভুটিয়া। সোমবার মিজোরামে ভোটের ফল গণনা হতে দেখা গেল শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে গোল দিয়ে রাজনীতির মাঠে নিজের জয় নিশ্চিত করলেন জেজে। মিজোরামের দক্ষিণ তুইপুই আসনে জেডপিএম-এর প্রার্থী জেজে লালপেখলুয়ার কাছে পরাজিত হয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আর লালথাংলিয়ানা। জোরাম পিপলস মুভমেন্টের জেজে লালপেখলুয়া পেয়েছেন ৫৪৬৮ টি ভোট আর এমএনএফ প্রার্থী আর লালথাংলিয়ানা পেয়েছেন ৫৩৩৩ টি ভোট। ইতিপূর্বে ভাইচুং ভুটিয়া একাধিকবার ভোটে লড়লেও জিততে পারেননি। জেজে কিন্তু প্রথম ম্যাচেই গোল করলেন।
আরও পড়ুন: ‘‘ভোটে হেরে সংসদে রাগ দেখাবেন না’’! বিরোধীদের হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদির
মিজোরামে ফুটবল অত্যন্ত জনপ্রিয়, ফুটবলাররা মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। তাদের ভাবমূর্তিও যথেষ্ট ভালো। সেটাই কাজে লাগিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জেজেকে প্রার্থী করে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেন জেজে। দেশের হয়ে ৫৬টি ম্যাচে ২৩টি গোল করেছেন। শুরু করেছিলেন পুণে এফসি-র অ্যাকাডেমি থেকে। পুণে এফসি তাঁর প্রথম পেশাদার ক্লাব। এরপর পৈলান অ্যারোজ, ডেম্পো হয়ে ২০১৪-১৫ মরসুমে যোগ দেন মোহনবাগানে। শুধু সবুজ মেরুন নয় ২০২০-২১ মরসুমে লাল হলুদ জার্সিতে খেলেন মিজোরামের এই স্ট্রাইকার। আইএসএলে চেন্নাইয়িন দলের সদস্যও ছিলেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।