মহারাষ্ট্রে লাউডস্পিকার বিতর্কে অন্তত এক হাজার এমএনএস কর্মীকে আটক করে রেখেছে পুলিশ। যা কখনওই ঠিক নয়।
রাজ ঠাকরের নিশানায় উদ্ধব ঠাকরে (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতা স্থায়ী নয়। তা আসবে-যাবে। আজ যে সরকারে রয়েছে কাল তাঁর হাতে ক্ষমতা না-ও থাকতে পারে। এই চিরন্তন সত্যটা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী (Maharashtra CM) উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) মনে রাখা উচিত বলে মনে করেন মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনার (MNS) প্রধান রাজ ঠাকরে (RajThackeray)।
মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় তিনি শিবসেনা (Shivsena) প্রধান উদ্ধবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার ঠিক নয়। মহারাষ্ট্রে লাউডস্পিকার (Loudspeaker row) বিতর্কে অন্তত এক হাজার এমএনএস কর্মীকে আটক করে রেখেছে পুলিশ। যা কখনওই ঠিক নয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত এবং রাজ্যের বাইরে বহু জায়গায় এমএনএস কর্মীদের আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করা হয়েছে। যাঁরা আইন মানছেন তাঁদের আটক করা হচ্ছে। আর যাঁরা আইন ভাঙছেন তাঁরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, বলে দাবি রাজের।
সম্প্রতি রাজ ঠাকরে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মহারাষ্ট্রের মসজিদগুলি থেকে লাউডস্পিকার সরিয়ে দিতে হবে। না হলে, মসজিদের বাইরে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠ করা হবে। ইদের (Eid) আগে উস্কানিমূলক ওই ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার শীর্ষ নেতা রাজ ঠাকরের বিরুদ্ধে মামলা করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। রাজ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ৩ মে-র মধ্যে মহারাষ্ট্রের মসজিদগুলি থেকে সব লাউডস্পিকার সরিয়ে ফেলতে হবে। কিন্তু সেই হুমকিতে গুরুত্ব না দিয়ে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার এমএনএস নেতার বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করতে শুরু করে। লাউডস্পিকার সরানোর যে সময়সীমা বেধে দেন রাজ, তার আগেই অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে মহারাষ্ট্রের একটি আদালত।
রাজ জানিয়েছেন, স্পিকার বিষয়টি শুধু মসজিদের নয়। অনেক মন্দির আছে যেখানে অবৈধ ভাবে লাউডস্পিকার বাজানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, “আমি ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, অবৈধ লাউডস্পিকারের ব্যবহার কোনও ধর্মীয় বিষয় নয়, এটি একটি সামাজিক বিষয়।” এর সঙ্গে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি রাজের। তাঁর কথায়, “সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করার কোনও ইচ্ছা নেই। এই শব্দদূষণ মহারাষ্ট্রে বন্ধ হওয়া উচিত। যত দিন না এই শব্দদূষণ বন্ধ হচ্ছে, তত দিন প্রতিবাদ চলবে।”
এমএনএস প্রধানের হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না শিবসেনা। দলের মুখপাত্র সাংসদ সঞ্জয় রাউতের কথায়, ‘‘লাউডস্পিকার নিয়ে যা হচ্ছে, তা আদতে হিন্দুত্বের শ্বাসরোধ করছে। বহু মন্দিরেও লাউডস্পিকার বাজানো হয়। কারণ, ভক্তেরা যাতে সকালে প্রার্থনা শুনতে পান। শিবসেনা কারও কাছ থেকে হিন্দুত্বের পাঠ নেবে না।’’