Lok Sabha Election 2024: ১০ বছরে দেশবাসীকে দেওয়া সমস্ত আশ্বাসই পূরণ করেছে মোদি সরকার...
প্রধানমন্ত্রী মোদি (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার ১০ বছরে পা রেখেছে। গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি শক্তিশালী,সুস্থিত ও স্বাধীন সরকারকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০২৪ সালে প্রথমবারের জন্য প্রায় ৩০ বছর পরে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ কোন দল ক্ষমতায় (Modi Guarantee) আসে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি যে আস্থা এবং বিশ্বাস ভারতের জনগণ ২০১৪ সালে দেখিয়েছিলেন, ২০১৯ সালেও তা অনেক গুণ বেড়ে যায়। বর্তমান ভারতের তরুণ প্রজন্মও তাই বিশ্বকে বলছে, আমরা পেরিয়ে এসেছি সেই সময়টা, যখন ভারতবর্ষ কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভরসা রাখা হতো দুর্বল একটি জোট সরকারের ওপর, এখন তবে সময় পাল্টেছে। দেশের মানুষ এখন এখন রাজনৈতিক সুস্থিরতা চান, পাশাপাশি অর্থনৈতিক অগ্রগতিও চান। নরেন্দ্র মোদি এই দুটোই তরুণ প্রজন্মকে দিতে পেরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অথবা গুজরাটের (Modi Guarantee) মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রধান নরেন্দ্র মোদি তাঁর কথা রেখেছেন। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই তাঁর দুটি সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক ঘটনায় রূপান্তরিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি হল, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার বিলোপ সাধন এবং অপরটি হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রণয়ন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অবশ্য ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদে পাস হয়ে গেলেও, তার লাগু করা হয় ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তার একটাই কারণ মাঝখানে করোনা মহামারি।
নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে যে যে আশ্বাস দিয়েছিল, তার বেশির ভাগই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। তার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য আশ্বাস, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মোদি সরকার পূরণ করতে পেরেছে। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন স্বয়ং ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। যা একটি আন্তর্জাতিক উৎসবে পরিণত হয়। ৫০০ বছরে হিন্দুদের সংঘর্ষের সফলতাকেই তুলে ধরে রাম মন্দিরের উদ্বোধন। কোটি কোটি হিন্দুর আস্থা-বিশ্বাস-ভরসাকে মর্যাদা দিয়েছে রাম মন্দিরের উদ্বোধন। রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে স্মরণ করে রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচিও (Modi Guarantee) গ্রহণ করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। যেমন দেশের প্রত্যেকটি গ্রামে তারা পৌঁছেছে রাম মন্দিরের অক্ষত চাল নিয়ে। রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন দেশের প্রত্যেকটি ধর্ম প্রতিষ্ঠানে নাম সংকীর্তন এবং ভজনের আয়োজন করেছেন স্বয়ংসেবকরা। এছাড়া সারা দেশব্যাপী সেই উন্মাদনার একটি আবহাওয়া দেখা গেছে ২২ জানুয়ারি।
অন্যদিকে কৃষি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গিয়েছে মোদি জমানায়। নতুন আইন যেমন প্রণয়ন হয়েছে এই সময়ের মধ্যে, তেমনই ধানের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তিনবার বেড়েছে ২০১৪ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে। গমের ক্ষেত্রে এই সময়ের মধ্যে দুবার বেড়েছে সহায়ক মূল্য। বর্তমান ভারতে কৃষকরা সরাসরি ন্যূনতম সহায়ক মূলক পারছেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এবং মাঝখানে কোনও দালাল ধরতে হচ্ছে না। অর্থাৎ এক্ষেত্রে কোনও দুর্নীতি (Modi Guarantee) হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। যাই হোক, বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিতেও যথেষ্ট পরিবর্তনে এসেছে। উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে উৎপাদন ব্যাপক বেড়েছে চাষের ক্ষেত্রে। এর পাশাপাশি রফতানিও উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মেঘালয়ের আনারস বর্তমানে রেকর্ড ভাবে পশ্চিম এশিয়াতে রফতানি চলছে। ২০২৩ সালে নভেম্বর মাসে মোদি সরকার রেজিস্ট্রেশন করেছে ৭,৫০০-এরও বেশি 'ফার্মার প্রডিউসার অর্গানাইজেশন'- এর মাধ্যমে ছোট এবং গরিব চাষিরা তাদের রোজগার বাড়াতে পেরেছেন। সম্প্রতি বিদেশের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে যে মোদি জমানায় উল্লেখযোগ্য ভাবে ভারতবর্ষের সামাজিক-অর্থনীতির পরিবর্তন হয়েছে।
ক্ষমতায় আসার পর পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনধন অ্য়াকাউন্ট খোলার উপরে নজর দেন। দেশে প্রায় ৫২ কোটি জন ধন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। ৪৬ কোটিরও বেশি মুদ্রা লোন (Modi Guarantee) ভারতবর্ষে দিয়েছে মোদি সরকার। এর পাশাপাশি ১১ কোটি মানুষকে বাড়িতে দেওয়া হয়েছে জলের লাইন। তিন কোটি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ঘর দেওয়া হয়েছে। উজ্জ্বালা গ্যাস যোজনার মাধ্যমে ১০ কোটিরও বেশি পরিবারকে বিনামূল্যে গ্যাস কানেকশনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ৫০ কোটি ভারতীয়কে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার আওতায় আনা হয়েছে, যা বর্তমান ভারতের জনসংখ্যা ২৩ শতাংশ। বিগত ১০ বছরে অন্নবস্ত্র বাসস্থানের লড়াইয়ে ভারতবাসী অনেকটাই সফল হয়েছে।
বিগত ১০ বছরে মোদি সরকার ভারতবর্ষের সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রকে ছুঁয়েছে (Modi Guarantee)। একথা বলা যায়, ভারতবাসীকে আত্মনির্ভর করে তুলতে যথেষ্ট উদ্যোগী হয়েছে সরকার। এর আগে ২০১৯ সালে কংগ্রেস ঘোষণা করেছিল যে ক্ষমতা এলে তারা ৭২ হাজার টাকা করে প্রতি পরিবারকে দেবে। জনগণ তা ছুড়ে ফেলেছে। ২০২-২৩ সালে একাধিক রাজ্যের নির্বাচনেও কংগ্রেসের এ প্রচার ধোপে টেকেনি। অন্যদিকে ২০২৪ সালে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে ক্ষমতা এলে তারা প্রতি পরিবারকে এক লাখ টাকা করে দেবে। এমন প্রচারও মুখ থুবড়ে পড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মোদি সরকারের অন্যতম উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে মনে করা হচ্ছে করোনা মহামারী সময় ভারতবর্ষের অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধি। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশ এই সময়ে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে সেখানে মোদির নেতৃত্বে ভারত (Modi Guarantee) এগিয়ে চলেছে। ভারতবর্ষ বর্তমানে পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। লকডাউনের সময় প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্য যোজনা মাধ্যমে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য রেশন সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি দেখে বিশ্বের বড় বড় শিল্পপতিরাও ভারতে বিনিয়োগ করতে চাইছেন। যাঁর মধ্যে অন্যতম হলেন ইলন মাস্ক।
মোদি জমানায় স্মার্ট ফোনের রফতানিতে বিপুল সাফল্য মিলছে। হিসাব বলছে, চলতি আর্থিক বছরে অর্থাৎ এপ্রিল মাসেই অ্যাপল ফোনের রফতানি ছুঁয়েছে টাকার অঙ্কে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত বছরের থেকে দ্বিগুণ বলে মনে করা হচ্ছে। আবার বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাপল ফোনের রফতানি ২০২৫ আর্থিক বছরের এপ্রিল মাসে পৌঁছে যাবে ১ লাখ কোটি টাকায়। প্রসঙ্গত, ভারতেই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অ্যাপল ফোন উৎপাদিত হয়। প্রসঙ্গত, বিশ্বের সর্বোচ্চ অ্যাপল ফোন উৎপাদিত হয় চিনে। এর পাশাপাশি রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে অ্য়াপল-এর ইকো সিস্টেমের মাধ্যমে ভারতে ১ লাখ ৫০ হাজার নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।