img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Muslim Appeasement: সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে হাঁড়ির হাল কর্নাটকের অর্থনীতির?

Karnataka: সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি! কর্নাটকে অধরা সামাজিক ন্যায়?...

img

ভোটের লাইনে জনতা। তবে সস্তার রাজনীতি করতে গিয়ে তোষণ করা হচ্ছে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ভোটারদের। প্রতীকী ছবি।

  2024-07-29 18:43:03

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএ জমানায় সংখ্যালঘু তোষণের (Muslim Appeasement) রাজনীতি করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে দেশ। বছরের পর বছর অশান্তির আগুনে পুড়েছে ভূস্বর্গ। দেশের যত্রতত্র ঘটেছে বিস্ফোরণ। তাতে কখনও প্রাণ হারিয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা, কখনও আবার জঙ্গিবাদের বলি হয়েছেন নিতান্তই নিরীহ মানুষ। তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই কংগ্রেস সরকার দলিতদের বাধ্য করেছে পেটে খিল দিয়ে পড়ে থাকতে। এই যেমনটা চলছে কর্নাটকে (Karnataka), কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া সরকারের জমানায়। কর্নাটকে কংগ্রেসের এই বিপজ্জনক খেলার জেরে হাঁড়ির হাল হতে চলেছে দক্ষিণের এই রাজ্যটির অর্থনীতির। তার পরেও সম্বিত ফেরে কই সরকারের! দিব্যি চলছে ভোটসর্বস্ব রাজনীতির খেল!

সংখ্যালঘু তোষণ (Muslim Appeasement)

২০২৩ সালের মে মাসে কর্নাটকের কুর্সিতে বসে কংগ্রেস। তার পর থেকেই রাজ্যে চলছে সংখ্যালঘু তোষণ। উদাহরণ? যেমন দেখুন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার উন্নয়নে তৈরি হয়েছে হাজার কোটি টাকার অ্যাকশান প্ল্যান। মাইনরিটি বাজেটারি অ্যালোকেশন বাড়িয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ওয়াকফ সম্পত্তির উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। রাজ্যের ৪১৬টি ওয়াকফ সম্পত্তি বাঁচাতে গড়া হবে সুরক্ষা দেওয়াল। এজন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩১.৮৪ কোটি টাকা। মেঙ্গালুরুতে নয়া হজ ভবন গড়তে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১০ কোটি টাকা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তাঁতিদের অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিতে হয়েছে লোনের ব্যবস্থা। সংখ্যালঘু মহিলাদের নিয়ে গঠিত স্বনির্ভর গোষ্ঠী যাতে বিভিন্ন ধরনের সেলফ এমপ্লয়মেন্ট অ্যাকটিভিজিজ করেন, সেজন্য তাদের উৎসাহ দেওয়া হবে। এজন্য বরাদ্দ করা হবে ১০ কোটি টাকা। সংখ্যালঘু ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে খরচের জন্য বরাদ্দ করা ৩৯৩ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: বাবাকে বাঁচাতে কুমিরের মুখেই হাত ঢুকিয়ে দিল বারো বছরের ছেলে! তারপর?

খয়রাতির রাজনীতি

খয়রাতির এই রাজনীতি চলছে যখন কর্নাটকে কৃষকরা প্রাণপাত করছেন জীবন সংগ্রামে। রাজ্যের সর্বত্রই কান পাতলে শোনা যায় বঞ্চনার ক্ষোভে ভারী বাতাসের শব্দ। রাজ্যবাসীর উন্নয়নে যে অর্থ ব্যয় করার কথা, তা দিয়ে ‘রেউড়ি’ রাজনীতি করার অভিযোগে সরব কর্নাটকের বিরোধীরা। তার পরেও দিব্যি চলছে সংখ্যালঘু তোষণ (Muslim Appeasement)। চাকরিতে সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪ শতাংশ পদ। এই সংখ্যালঘুদের ফেলা হয়েছে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ক্যাটেগরিতে। প্রশ্ন হল, খয়রাতির টাকা আসছে কোথা থেকে? জানা গিয়েছে, বাংলার তৃণমূল পরিচালিত সরকারের মতো কর্নাটকেও কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার কেন্দ্রের দেওয়া এক খাতের বরাদ্দ ব্যয় করছে অন্য খাতে। ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রাখতেই করা হচ্ছে এই রেউড়ি সংস্কৃতির রাজনীতি।

ভাঁড়ে মা ভবানী দশা অর্থনীতির

সস্তার এই রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্যে দশা ভাঁড়ে মা ভবানীর। এক সময় যে রাজ্য ছিল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে পূর্ণ, সেই রাজ্যই আজ দাঁড়িয়ে অর্থনৈতিক ধ্বংসের কিনারে। সিদ্দারামাইয়ার আগে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বাসবরাজ বোম্বাই। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বাজেট পেশ করেছিলেন তিনি। তখনও রাজ্যের অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেনি। বরং সারপ্লাস ছিল। তাঁর বাজেটে প্রস্তাবিত রাজস্ব সারপ্লাস ছিল ৪০২ কোটি টাকা। যেখানে এতদিন রাজস্ব ঘাটতি বাজেট পেশ হত, সেখানেই বোম্বাই পেশ করলেন সারপ্লাস বাজেট। ওই বছরই মে মাসে কুর্সিতে বসলেন সিদ্দারামাইয়া। খয়রাতির রাজনীতি (Muslim Appeasement) করতে গিয়ে রাজ্যকে দেউলিয়ার খাতায় নাম লেখানোর জোগাড় করে দিয়েছেন তিনি।

‘রেউড়ি পলিটিক্স’

অর্থনীতিবিদদের মতে, কর্নাটকের অর্থনীতির এই হাঁড়ির হালের নেপথ্যে রয়েছে সস্তার রাজনীতি, খয়রাতির রাজনীতি। যাকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আখ্যা দিয়েছেন ‘রেউড়ি পলিটিক্স’। রেউড়ি রাজনীতি হল খয়রাতির রাজনীতি। এই হেটো রাজনীতিতে জনতাকে নিখরচায় দেওয়া হয় বিভিন্ন উপহার। এই সব উপহার পেয়ে আমজনতা ভুলে যায় শিক্ষা-স্বাস্থ্য-চাকরির দৈন্যদশার কথা। ক্ষমতা অটুট (Karnataka) থাকে রেউড়ি রাজনীতির কারবারিদের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কর্নাটকে সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশকে লক্ষ্য করে তাদের মনোরঞ্জনে যেসব পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাতে উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে প্রকৃত দরিদ্র মানুষের। টান পড়েছে রাজ্যের কোষাগারে। সরকারের বেপরোয়া ব্যয়ের প্রবণতা ফাঁকা করে দিয়েছে কর্নাটকের রাজকোষাগার।

ট্যাডিশন আজও চলছে

তার পরেও চলছে খয়রাতির রাজনীতি। যে রাজনীতি করে দীর্ঘদিন কেন্দ্রের ক্ষমতায় টিকে ছিল কংগ্রেস, যে রাজনীতি করতে গিয়ে বুদ্ধ-অশোকের দেশে মাথা তুলেছে জঙ্গিবাদ, সেই রাজনীতির ট্যাডিশন আজও চলছে। এবং কেবল কংগ্রেস নয়, বাংলার তৃণমূল সরকারও একই কায়দায় ক্ষমতায় টিকে রয়েছে টানা তিনটে মেয়াদ। কর্নাটক কিংবা বাংলা - রাজ্যের উন্নয়ন জলে, কোষাগারের নেই নেই দশা, তার পরেও দিব্যি চলছে রেউড়ি রাজনীতি। ‘করে’ খাচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। বঞ্চিত হচ্ছেন আমআদমি (Karnataka)। গরিবরা আরও গরিব হচ্ছেন। আড়ে বহরে বাড়ছে সংখ্যালঘুদের (Muslim Appeasement) দৌরাত্ম্য!

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

congress

Madhyom

tmc

Karnataka

bangla news

Bengali news

muslim

siddaramaiah

appeasement

muslim appeasement

Congress Government


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর