এঁদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ মহিলাই গ্র্যাজুয়েট কিংবা তারও বেশি ডিগ্রির অধিকারী...
অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে একটাই দেওয়ানি বিধি (UCC) থাকুক। অন্তত এমনটাই চান এ দেশের সিংহভাগ মুসলমান মহিলা। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য। জানা গিয়েছে, দেশের ৬৭ শতাংশ মুসলমান মহিলা চান গোটা দেশের জন্য একটাই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি থাকুক। যাঁরা এই মত পোষণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ মহিলাই গ্র্যাজুয়েট কিংবা তারও বেশি ডিগ্রিধারী।
৭৬ শতাংশ মুসলমান মহিলা বহু বিবাহের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন না। মুসলমান পুরুষদের চারটি বিয়ে করার অধিকারও থাকা উচিত নয় বলেই মনে করেন তাঁরা। যাঁরা এমন মত ব্যক্ত করেন, তাঁদের মধ্যে গ্র্যাজুয়েট কিংবা তারও বেশি শিক্ষাগত যোগত্যার অধিকারী ৭৯ শতাংশ মহিলা। সমীক্ষায় যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ মহিলা মনে করেন বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া নারী এবং পুরুষের দ্বিতীয়বার বিয়ে করার অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন। কোনওরকম বিধিনিষেধ (UCC) ছাড়াই এটা হতে দেওয়া দরকার বলে মনে করেন ওই মুসলিম মহিলারা। দত্তক নেওয়ার পক্ষেও সায় দিয়েছেন সিংহভাগ মুসলিম মহিলা।
৬৯ শতাংশ মুসলিম মহিলা মনে করেন যাঁরা প্রবীণ হয়েছেন, তাঁরা তাঁদের সম্পত্তি ইচ্ছে মতো দান করতে পারেন। এ মতের স্বপক্ষে যাঁরা সায় দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ মহিলাই গ্র্যাজুয়েট কিংবা তারও বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী। বিয়ের বয়স মহিলা এবং পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই ২১ হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৭৯ শতাংশ মুসলিম মহিলা। এঁদের মধ্যে গ্র্যাজুয়েট কিংবা তারও বেশি শিক্ষিতের হার ৮২ শতাংশ।
আরও পড়ুুন: ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে ইডি-কে অনুমতি হাইকোর্টের
সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য থেকে একথা স্পষ্ট যে, ভারতের সিংহভাগ মুসলমান মহিলাই চাইছেন, অবিলম্বে চালু হোক অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC) । এই বিধি লাগু হলে বিবাহ বিচ্ছেদ সহ নানা ক্ষেত্রে জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে একটাই আইন চালু হবে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। দিল্লির এক বিজেপি নেতার দাবি, সংসদের বাদল অধিবেশনেই আসতে পারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।