img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Himanta Biswa Sarma: "অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান, জীবন-মরণের সমস্যা", বললেন হিমন্ত

Changing Demography: অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের রুখতে জেএমএম সরকার হাত গুটিয়ে কেন?, প্রশ্ন হিমন্তর...

img

রাজ্যে মুসলমানের বাড়বাড়ন্তের জন্য অনুপ্রবেশকেই দায়ী করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ফাইল ছবি।

  2024-07-20 17:53:39

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যা। আর এটাই অসমিয়াদের কাছে জীবন-মরণের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ডে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি জানান, অসমে মুসলমান জনসংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে (Changing Demography)। ১৯৫১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, অসমে মুসলমান ছিলেন মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ। সেটাই এখন বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ। মুসলমানদের এই বাড়বাড়ন্তের কারণে বদলে গিয়েছে অসমের ডেমোগ্রাফি। এনিয়ে ওই বৈঠকে উদ্বেগও প্রকাশ করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ডেমোগ্রাফি বদল উদ্বেগের বই কি! এটি কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়, বরং আমার কাছে এটি জীবন-মরণের সমস্যা।”

অসমের ডেমোগ্রাফি বদল (Himanta Biswa Sarma)

গত কয়েক দশকে কীভাবে অসমের ডেমোগ্রাফি বদলে গিয়েছে, সেই ছবিও তুলে ধরেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “১৯৫১ সালে অসমে মুসলিম জনসংখ্যার হার ছিল ১২ থেকে ১৪ শতাংশ। এখন এটাই বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ।” তিনি বলেন, “আমরা অনেকগুলো জেলা হারিয়েছি (এই জেলাগুলিতে বর্তমানে মুসলমানরাই সংখ্যাগুরু। বোধহয় এই বিষয়টিই বোঝাতে চেয়েছে হিমন্ত)। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডেমোগ্রাফি বদলে যাওয়াটা আমার কাছে একটা বড় ইস্যু।” ব্যাপক হারে অনুপ্রবেশের ফলেই যে রাজ্যে মুসলমানদের এই বাড়বাড়ন্ত, তাও মনে করিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বাংলাদেশের মুসলমানদের ব্যাপক হারে অনুপ্রবেশের ফলেই মুসলমানদের সংখ্যা এত বেড়ে গিয়েছে। আমাদের সরকার প্রতিদিন প্রচুর অনুপ্রবেশকারীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে।”

তুষ্টিকরণের রাজনীতি

ডেমোগ্রাফি বদলে যাওয়ার নেপথ্যেও যে তুষ্টিকরণের রাজনীতি রয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন হিমন্ত। বলেন, “আমি মনে করি, অসমের জনসংখ্যার সমস্যার সমাধান করা কংগ্রেসের দায়িত্ব। কারণ রাজ্যের সংখ্যালঘুরা কংগ্রেস নেতাদের কথা শোনেন। তাঁরা নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধীর মধ্যে রাহুলকেই বেছে নেবেন। তাঁরা আমায় শত্রু মনে করেন।” তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “রাহুল গান্ধী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অভিযানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলে, আগামিকাল থেকেই অসমের জনসংখ্যা বৃদ্ধি কমবে ব্যাপকভাবে।”

হু হু করে বাড়ছে মুসলমান

রীতিমতো তথ্য দিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রাজ্যে প্রতি দশ বছরে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ছে ৩০ শতাংশ করে। সেই হিসেবে ২০৪১ সালে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠবেন মুসলিমরাই। এটাই বাস্তব। কেউ থামাতে পারবে না।” তিনি বলেন, “দশ বছরে ১৬ শতাংশ করে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ছে এ রাজ্যে। আমাদের সরকার মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে জনসংখ্যা কমাতে পদক্ষেপও করছে।”

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ

বাংলাদেশি মুসলমানদের অনুপ্রবেশের ফলে যে আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডের ডেমোগ্রাফিও বদলে যাচ্ছে, দিন কয়েক আগেই সে সংবাদ পরিবেশন করেছিল মাধ্যম। সেই প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছিল, কীভাবে পশ্চিমবাংলা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে জাল নথি বানিয়ে বাংলার সীমানায় থাকা ঝাড়খণ্ডে ঢুকে পড়ছে অনুপ্রবেশকারীরা। সেখানকার আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করে তারা জমি হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও জানানো হয়েছিল ওই প্রতিবেদনে। এই অনুপ্রবেশের ফলেই যে ঝাড়খণ্ডের ডেমোগ্রাফিও বদলে যাচ্ছে, তারও খতিয়ান পেশ করা হয়েছিল মাধ্যমের ওই প্রতিবেদনে।

হিমন্তর আশ্বাস

অসমের মতো ঝাড়খণ্ডেও যে অনুপ্রবেশকারীরাই মাথাব্যথার কারণ, তা ভালোই বুঝেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। বলেন, “রাজ্যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার রয়েছে। অনুপ্রবেশ রুখতে তারা কোনও কঠোর পদক্ষেপ করছে না। উপজাতির তরুণীদের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করছে তারা। পরে করছে ধর্মান্তকরণ। সরকার এসব জেনেশুনেও কোনও পদক্ষেপ করছে না।” ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে সরকার বদলের ডাকও দেন হিমন্ত। আসন্ন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর পদক্ষেপ করবে বলেও আশ্বাস দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

ঝাড়খণ্ড সরকার হাত গুটিয়ে কেন?

তিনি বলেন, “এ রাজ্যেও ঝাড়খণ্ডের বাইরে থেকে আসছে অনুপ্রবেশকারীরা। আদিবাসী তরুণীদের প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করছে। এসবই ঘটছে জেএমএম-কংগ্রেস জোট শাসকের ছত্রছায়ায়। অসমও সীমান্ত ঘেঁষা রাজ্য। সেখানেও আমি প্রতিদিন লড়াই করছি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে। তাহলে লাগাতার অনুপ্রবেশ চলতে থাকলেও ঝাড়খণ্ড সরকার কেন হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে?” অনুপ্রবেশকারীদের স্বদেশে ফেরানোটা যে রাজ্য সরকারেরই কর্তব্য, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)।

আরও পড়ুন: জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তানের প্রাক্তন এসএসজি কমান্ডোরা!

প্রসঙ্গত, পয়লা জুলাইও কোনও ধর্মের নাম না করেই একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের এক শ্রেণির মানুষকে নিশানা করেছিলেন (Changing Demography) অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেছিলেন, অসমের অপরাধমূলক কাজকর্মকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এরাই। তিনি অবশ্য এ-ও বলেছিলেন, “আমি বলছি না যে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষই কেবল অপরাধ করছে। যদিও অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পরে যেসব ঘটনা ঘটছে, তা রীতিমতো উদ্বেগের বিষয় (Himanta Biswa Sarma)।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

bjp

political news

Madhyom

bangla news

Bengali news

Assam

Himanta Biswa Sarma

hindu

JMM

 muslim

news in bengali    

Changing Demography

Demography

 Jharkhand

Rachi


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর