মায়ানমার-চিন সংযোগকারী প্রধান সড়কের দখলও নিয়েছেন বিদ্রোহীরা...
ভারতে আশ্রয় নেওয়া মায়ানমার সেনা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছু হটছে মায়ানমার (Myanmar) সেনা! বিদ্রোহী জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের হামলায় প্রাণ ভয়ে ভীত তারা। গ্রামবাসীদের ভিড়ে মিশে গিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ছে তারাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে ঢুকে পড়েছে প্রায় ৫ হাজার মায়ানমারের নাগরিক। মিজোরাম পুলিশ জানিয়েছে, এঁদের মধ্যে রয়েছেন ৩৯জন সেনাকর্মীও।
অক্টোবর মাসে মায়ানমারের তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নয়া জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ অভিযান শুরু করে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে। এই জোটের হামলায় একের পর এক এলাকা হাতছাড়া হচ্ছে জুন্টা সরকারের। মায়ানমারের গণতন্ত্রীপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট বিদ্রোহীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। যৌথ অভিযানে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম মায়ানমারের শান ও সাগিয়াং প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্রোহীদের দখলে গিয়েছে। মায়ানমার-চিন সংযোগকারী প্রধান সড়কের দখলও নিয়েছেন বিদ্রোহীরা।
বর্তমানে লড়াই চলছে পশ্চিমের চিন প্রদেশে। তার জেরেই দলে দলে ভিটে-মাটি ছাড়ছেন মায়ানমারের (Myanmar) নাগরিকরা। মিজোরাম পুলিশের আইজি লালবিয়াকথাঙ্গা খিয়াংটে বলেন, “মিজোরামের চাম্পেই জেলা লাগোয়া সীমান্তের অদূরে মায়ানমার সেনার রিখাওদর ও খাওমাওয়ি ছাউনি দুটি সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্রোহী বাহিনী দখল করে। প্রাণ ভয়ে ৩৯ জন মায়ানমার সেনা জোকাওথান সীমান্ত চেকপোস্ট পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁরা এ দেশে আশ্রয় চেয়েছেন।” তিনি জানান, সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রামেরও দখল নিয়েছে বিদ্রোহী বাহিনী। প্রাণ ভয়ে ভারতে চলে এসেছেন হাজার পাঁচেক গ্রামবাসী।
আরও পড়ুুন: ‘‘আমি মন্ত্রী, জেল রাজ্যের, এই সেলে থাকব না’’, বললেন অসন্তুষ্ট বালু
একুশের ফেব্রুয়ারি মাসে মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী আউং সান সু চি-র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল মায়ানমার সেনা। মায়ানমারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মিয়ন্ত শোয়ে গত সপ্তাহে বলেছিলেন, দ্রুত এবং কার্যকরী পদক্ষেপ না করলে আমাদের দেশ টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে। তাঁর আশঙ্কা যে নিছক অমূলক নয়, সোমবারের ঘটনায়ই তা স্পষ্ট (Myanmar)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।