Narendra Modi: কৃষকদের উন্নয়নে মোদি সরকারের উদ্যোগ
জাতীয় কৃষক দিবসে চাষিদের শ্রদ্ধা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের কৃষকদের (National Farmers Day) শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছর ২৩ ডিসেম্বর ভারতে জাতীয় কৃষক দিবস পালন করা হয়। এই দিনটি ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংয়ের জন্মবার্ষিকী, যিনি কৃষক সম্প্রদায়ের অধিকার ও কল্যাণের পক্ষে সবসময় ছিলেন। একটি কৃষিনির্ভর অর্থনীতি হিসেবে ভারত তার কৃষকদের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে।
কৃষকদের পাশে মোদি সরকার (National Farmers Day)
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের কৃষির ক্ষেত্রে একটি অসাধারণ পরিবর্তন ঘটেছে। জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে কৃষকদের (National Farmers Day) গুরুত্ব স্বীকার করে মোদি সরকার প্রগতিশীল নীতিগুলি বাস্তবায়ন করেছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (PM-KISAN) এবং প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা (PMFBY) -র মতো প্রকল্পগুলির প্রবর্তন কৃষকদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা করেছে। কৃষক কল্যাণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিশ্রুতি ভারতের উন্নয়নের মূলে রয়েছে। কৃষিকে দেশের সমৃদ্ধির একটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ বলে নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম
জাতীয় কৃষক দিবসের ইতিহাস
ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংয়ের জীবন ও কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে জাতীয় কৃষক (National Farmers Day) দিবস বা কিষাণ দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর মেয়াদে তিনি কৃষকদের জীবনযাত্রার উন্নতির লক্ষ্যে নীতিগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে ভূমি সংস্কার এবং কৃষিকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ। কৃষক সম্প্রদায়ের কল্যাণে তাঁর উত্সর্গের কারণে, তাঁর জন্মদিন ২৩ ডিসেম্বরকে জাতীয় কৃষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
দেশের ৩২৮.৭ মিলিয়ন হেক্টরের মধ্যে ৫৪.৮ শতাংশ কৃষি জমি। কৃষকরা তাদের অবিরাম প্রচেষ্টার মাধ্যমে জিডিপি এবং কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভরণপোষণ নিশ্চিত করেন। ২০২৩-২৪ সালে ৩৩২.২ মিলিয়ন টন রেকর্ড-ব্রেকিং খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে।খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কৃষকদের অপরিহার্য ভূমিকার ওপর জোর দেয়। কৃষি গ্রামীণ উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। কৃষকদের (National Farmers Day) প্রচেষ্টার একটি প্রবল প্রভাব রয়েছে।
আধুনিক ভারতীয় কৃষকরা (National Farmers Day) শুধু চাষিই নয়, উদ্ভাবকও। ফসলের ঘূর্ণন, জৈব চাষ এবং দক্ষ জল ব্যবস্থাপনার মতো টেকসই কৃষি পদ্ধতি গ্রহণ করে, তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত অবনতির মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে। তাদের উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিকে একীভূত করার জন্য উন্মুক্ততা, যেমন নির্ভুল চাষ এবং ড্রোন-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ, সম্পদ সংরক্ষণের সময় উৎপাদনশীলতা বাড়ায়। এই প্রচেষ্টাগুলি নিশ্চিত করে যে ভারতীয় কৃষি ভবিষ্যতের সঙ্গে আপোস না করেই বর্তমান চাহিদা মেটাতে সবরকমভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কৃষকদের (National Farmers Day) প্রায়ই 'অন্নদাতা' বা খাদ্য সরবরাহকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তারা দেশের খাদ্য সরবরাহ বজায় রাখার জন্য অনিশ্চিত আবহাওয়া, বাজারের ওঠানামা এবং আর্থিক অস্থিতিশীলতার মতো চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে কাজ করে। কিষাণ দিবস ভারতের অর্থনীতি, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে কৃষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে। একইসঙ্গে এই দিনটি ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন, টেকসই চাষাবাদ অনুশীলন এবং আধুনিক প্রযুক্তির অ্যাক্সেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার একটি সুযোগ হিসেবে কাজ করে। কৃষকদের জীবন উন্নত করার জন্য সরকারি স্কিম এবং সংস্কার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।
ভারত কৃষি ভিত্তিক দেশ। এর গ্রামীণ জনসংখ্যার অধিকাংশই কৃষি বা কৃষি-সম্পর্কিত কাজের ওপর নির্ভরশীল। কৃষকরা হলেন সমাজের মেরুদণ্ড। জাতি যাতে পুষ্ট থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন কৃষকরা। কিষাণ দিবস হল দেশের জন্য কৃষকদের অমূল্য অবদানকে আরও ভালোভাবে বোঝার এবং উপলব্ধি করার একটি দিন। এই দিনে, কৃষিতে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সঙ্গে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিতে দেশজুড়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই প্রোগ্রামগুলি কৃষকদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে আলোচনা করার এবং তাদের চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষাগুলি অন্বেষণ করার জন্য কাজ করে। তাই, জাতীয় কৃষক দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় কৃষির নিরন্তর মূল্য এবং এটি সংরক্ষণের সম্মিলিত দায়িত্ব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।