Nutrition Tracker: কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক জিতল ই-গভর্নেন্স ২০২৪-এর জাতীয় পুরস্কার ...
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক ই-প্রশাসন ২০২৪-এর অধীনে জাতীয় পুরস্কার জিতেছে (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক নিউট্রিশন ট্র্যাকার উদ্যোগের নিরিখে ই-প্রশাসন ২০২৪-এর অধীনে মুম্বইয়ে জাতীয় পুরস্কার (National Award 2024) জিতেছে। সরকারের প্রক্রিয়করণ পুনর্বিন্যাস এবং ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য নিউট্রিশন ট্র্যাকার (Nutrition Tracker) উদ্যোগকে এই পুরস্কার দেওয়া হল। শিশুদের জন্য এক সুস্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎকে সুনিশ্চিত করে চলেছে নিউট্রিশন ট্র্যাকার এবং একই সঙ্গে শিশুদের পুষ্টিকর বিকাশ ও শারীরিক বৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণ ও পর্যালোচনা করা হচ্ছে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে।
শূন্য থেকে ছয় বছর বয়সের শিশুদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ সাধনকে সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে এটি কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের এক তাৎপর্যময় পদক্ষেপ (National Award 2024)। 'মিশন নিউট্রিশন ২.০'-এর আওতায় কোটি কোটি শিশুর স্বাস্থ্যগত বিকাশ ও শারীরিক বৃদ্ধি নিশ্চিত হচ্ছে। শিশুর মাসিক শারীরিক বিকাশের হার ও ধরণ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে নিউট্রিশন ট্র্যাকার উদ্যোগের মাধ্যমে। নিউট্রিশন ট্র্যাকার ২.০ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র বৃদ্ধি ক্রমতালিকার মাধ্যমে শিশুদের বৃদ্ধির ধরণকে সুচিত ও চিহ্নিত করতে সহায়তা করে। এটা শিশুদের স্বাস্থ্যগত হাল নিয়ন্ত্রণ করতে একটি অপরিহার্য মাধ্যম। এই ক্রমতালিকাটি শিশুদের শারীরিক বিকাশের গতিপ্রকৃতির চিত্র তুলে ধরে। তা ছাড়া শিশুদের বয়স ও লিঙ্গ অনুয়ায়ী তাদের ওজন ও উচ্চতার মতো দিকগুলির পরিমাপ নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণের কাজকে সহজতর করে তোলে। নিউট্রিশন ট্র্যাকারের মাধ্যমে শিশুদের শিশুর পুষ্টিগত অবস্থা যাচাই করা যায়। তাছাড়া কোনও রকম ত্রুটি-বিচ্যুতি বা ঘাটতি থাকলে তা আগাম সনাক্ত করতে পারেন এ দেশের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। এর ফলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা আগে থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ফের রাজ্য-রাজভবন সংঘাত! মমতার ‘অপরাজিতা বিল’ রাষ্ট্রপতিকে পাঠালেন বোস
নিউট্রিশন ট্র্যাকার (National Award 2024) হল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত একটি তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর যান্ত্রিক ব্যবস্থা, যা শিশুদের বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমস্যাগুলিকে সময় মতো চিহ্নিত করতে সহায়তা করে। দেশের প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে (এডব্লিউসি) পাওয়া যায় এই 'বৃদ্ধি পরিমাপক ডিভাইস' (জিএমডি)। এর মাধ্যমে সঠিকভাবে ডেটা এন্ট্রি করা যায়। এর মাধ্যমে প্রাপ্ত সঠিক তথ্য ও পরিসংখ্যান এবং নিয়মিত নিয়ন্ত্রণের দ্বারা কর্মসূচিটি অত্যন্ত নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। বর্তমানে নিউট্রিশন ট্র্যাকার ২.০-র আওতায় সারা দেশের শূন্য থেকে ছয় বছর বয়সের ৮ কোটি ৯০ লক্ষ শিশুকে নিয়ে আসা হয়েছে। সেই সঙ্গে মাত্র এক মাস সময় কালে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ৮ কোটি ৫৭ লক্ষ শিশুর মাসিক নিয়মিত বিকাশের পরিমাপ করে নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে নিউট্রিশন ট্র্যাকার ২.০ কর্মসূচি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।