img

Follow us on

Sunday, Oct 06, 2024

Modi on Terrorism: "সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে মূল্য চোকাতেই হবে", নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

২০০০- ২০১৯ সালের মধ্যে সন্ত্রাসবাদের কারণে ৯০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হারিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি।

img

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদি

  2022-11-19 15:56:42

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্তাসবাদকে সমর্থন করাই কিছু দেশের বিদেশ নীতি। কোনও কোনও দেশ প্রত্যক্ষভাবে এই কাজ করছে। আর কোনও কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদে যুক্ত দেশগুলির দোষ আড়াল করে সন্ত্রাসবাদে পরোক্ষভাবে মদত দিচ্ছে। কেউ আবার সন্ত্রাসবাদে আর্থিক সাহায্য করছে। সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে এর মূল্য চোকাতেই হবে। 'নো মানি ফর টেরর'- শীর্ষক বৈঠকে নাম না করে এভাবেই চিন এবং পাকিস্তানকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi on Terrorism)। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ টেনে এনে মোদি বলেন, "সন্ত্রাসের প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই সমান ক্রোধ এবং প্রত্যাঘাত প্রয়োজন।"    

দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আয়োজিত তৃতীয় ‘নো মানি ফর টেরর মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অন কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং’-এ ৭০টির বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ থাকার কারণে এই বৈঠকে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানকে আমন্ত্রন জানানো হয়নি। ইসলামাবাদকে সমর্থন করার অভিযোগ রয়েছে চিনের বিরুদ্ধেও। সুকৌশলে এই বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছে জিনপিং- এর দেশ।  

আরও পড়ুন: কয়েদিকে আরামের মালিশ! জেলে সত্যেন্দ্র জৈনের সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, "জিরো টলারেন্স নীতি না নিলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য পাওয়া কঠিন।" মোদি আরও বলেন, "সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। এটি মানবতা, স্বাধীনতা এবং সভ্যতার উপর আক্রমণ। এর কোনও সীমানা নেই। শুধুমাত্র একটি অভিন্ন, ঐক্যবদ্ধ এবং শূন্য-সহনশীলতার দৃষ্টিভঙ্গি সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করতে পারে। দশকের পর দশক ধরে বিভিন্ন নাম এবং রূপ নিয়ে সন্ত্রাসবাদ ভারতকে আঘাত করার চেষ্টা করেছে। আমরা বহু প্রাণ হারিয়েছি। তবুও সাহসিকতার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। সন্ত্রাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না।" 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ বিষয়ে বলেন, "আল কায়দার পাশাপাশি লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গিগোষ্ঠী এখনও সক্রিয়। তাদের দমন করা প্রয়োজন।"  

সন্ত্রাসবাদের কারণে ধুঁকছে বিশ্ব অর্থনীতি 

মূলত আর্থিক তছরুপ, মাদক পাচার, অপহরণের মুক্তিপণের টাকাই সন্ত্রাসবাদে অর্থের যোগান দেয়। একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে প্রতি বছর বিশ্ব জিডিপির ২-৫% অর্থ (২-৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার) আর্থিক তছরুপে চলে যায়। মাদক পাচারে প্রতিবছর বেরিয়ে যায় প্রায় ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।    

বিগত কয়েক বছরে সন্ত্রাসবাদের কারণে ভারী মূল্য চোকাতে হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিকে। ২০০০- ২০১৯ সালের মধ্যে সন্ত্রাসবাদের কারণে ৯০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হারিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ২০১৪ সালে। সিরিয়া এবং ইরাকে আইএসআইএস- এর বাড়বাড়ন্ত হলে এক বছরেই বিশ্ব অর্থনীতি খোয়ায় ১১৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

বিশ্ব অর্থনীতি ধুঁকলেও, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ফোরবসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আইএসআইএস- এর বার্ষিক লেনদেন ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। হামাসের ১ বিলিয়ন। কিছু কিছু সংগঠন ২০১৬-২০১৮- এর মধ্যে নিজেদের আয় দ্বিগুণ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, হিজবুল্লার আয় ৫.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। তালিবানদের ৪০০ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ৮০০ মিলিয়ন হয়েছে। আলকায়দার আয় ১৫০ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। আফগানিস্তান, পুরো একটি দেশই এখন তালিবানদের হাতে।  

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

 

 

Tags:

pakistan

China

Modi onTerrorism


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর