Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে নিকেশ ৬ মাওবাদী, মাথার দাম শুনলে চমকে যাবেন...
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার নকশাল দমনে (Naxalites Killed) বড়সড় সাফল্য পেল কেন্দ্র। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে ৬ মাওবাদী। ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলার ঘটনা। সংঘর্ষে যে ছয় মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের সম্মিলিত মাথার দাম ছিল ৩৮ লাখ টাকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, নারায়ণপুরের বিভিন্ন এলাকায় মাওবাদীরা আত্মগোপন করে রয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর পায় পুলিশ। এর পরেই যৌথ অভিযানে নামে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহনী। যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গোবেল ও থুলথুলি গ্রামের কাছে আত্মগোপন করে থাকা মাওবাদীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। প্রতিরোধ গড়ে তোলে যৌথ অভিযানে শামিল হওয়া পুলিশকর্মী ও জওয়ানরা। খতম হয় ৬ মাওবাদী। এদের মধ্যে তিনজন মহিলাও রয়েছে।
মাওবাদী দমনে (Naxalites Killed) কেন্দ্র যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, বারংবার তা মনে করিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের দিন দুই আগেই তিনি বলেছিলেন, “মোদিজি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বিজেপি সরকার নকশালবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবিরাম প্রচার শুরু করেছে। ২০১৪ সাল থেকে আমরা ক্যাম্প তৈরি করতে শুরু করেছি।”
এর আগে মে মাসে এই নারায়ণপুর ও বিজাপুর জেলার সীমানায় অভিযান চালিয়েছিল যৌথবাহিনী। সেবারও নিকেশ হয়েছিল ৭ মাওবাদী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছিল সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ৩০ এপ্রিল নারায়ণপুর ও কাঙ্কের জেলার সীমানায় তল্লাশি অভিযানে খতম হয়েছিল ১০ মাওবাদী। এর মধ্যেও ছিল তিন মহিলা। এই মাসেই কাঙ্কেরে সংঘর্ষে খতম হন ২৯ জন মাওবাদী। তার পর মাও দমনে এদিন ফের মিলল সাফল্য।
আর পড়ুন: শপথ গ্রহণের প্রস্তুতি সারা, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে কারা?
শনিবার পুলিশের বস্তার রেঞ্জের আইজি বলেন, “৬ জুন রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে অপারেশন চালাচ্ছিলেন। নারায়ণপুর, কেন্দাগাঁও, দান্তেওয়াড়া এবং বস্তার জেলায় মাওবাদীর ঘাঁটি গেড়েছে বলে খবর মেলে। শুক্রবার বিকেল তিনটে নাগাদ নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা গুলি চালান জওয়ানরাও। দীর্ঘক্ষণ সংঘর্ষ চলার পর মাওবাদীরা পাহাড়ে ঘেরা গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায় (Naxalites Killed)।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।