Ram Temple: আধুনিক শিক্ষা নিয়ে কী বললেন এনসিইআরটি কর্তা...
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঘৃণা এবং হিংসা শিক্ষার বিষয় হতে পারে না। স্কুলের পাঠ্যবইয়ে এসব বিষয়ে আলোকপাত করাও উচিত নয়।” কথাগুলি বললেন এনসিইআরটির (NCERT) প্রধান। প্রসঙ্গত, এনসিআরটির নয়া পাঠ্যপুস্তকে দ্বাদশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বাবরি মসজিদ নামটির উল্লেখ নেই বলে অভিযোগ। বইটিতে বাবরি মসজিদকে তিন গম্বুজওয়ালা কাঠামো বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এনিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। এহেন আবহে মুখ খুললেন এনসিইআরটির (NCERT) প্রধান দীনেশ প্রসাদ সাকলানি।
তিনি বলেন, “আমরা কি আমাদের শিক্ষার্থীদের এমনভাবে শিক্ষা দেব যাতে তারা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে? সমাজে ঘৃণার সৃষ্টি করে বা ঘৃণার শিকার হয়? এটাই কি শিক্ষার উদ্দেশ্য?” তিনি বলেন, “আমাদের কি এই রকম ছোট বাচ্চাদের দাঙ্গা সম্পর্কে শেখানো উচিত...তারা যখন বড় হবে, তখন এটি সম্পর্কে এমনই জানতে পারবে। তাহলে স্কুলের পাঠ্যপুস্তক থেকে জানার দরকার কেন?” এনসিআরটির সিলেবাস অনুসরণ করা হয় ৩০ হাজার স্কুলে।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের অনুমোদিত এই সব স্কুলে ওই পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। শিক্ষায় গৈরিকীকরণের যে অভিযোগ বিরোধীরা করছেন, তাও নস্যাৎ করে দিয়েছেন সাকলানি। তিনি বলেন, “শিশুরা বড় হওয়ার পর জানতে পারবে কী ঘটেছে, কেনই বা ঘটেছে। এই রদবদল নিয়ে সরব হওয়া একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যদি রাম মন্দির, বাবরি মসজিদ বা রাম জন্মভূমির পক্ষে রায় দিয়ে থাকে, তা কি আমাদের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয়? তাতে সমস্যা কী?”
আরও পড়ুন: এবার কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেও চালু হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি দর্শন
সাকলানি বলেন, “স্কুলের পাঠ্যবইয়ে দাঙ্গা নিয়ে কী শিক্ষা দেওয়া উচিত? আমরা পজিটিভ নাগরিক সৃষ্টি করতে চাইছি। হিংসা ও হতাশ ব্যক্তিত্ব তৈরি নয়। এর পরেই তিনি বলেন, আমাদের কী এমনভাবে শিক্ষা দেওয়া উচিত যাতে করে সমাজে ঘৃণা ছড়ায় কিংবা আমাদের শিশুরা ঘৃণার শিকার হয় এটাই কি শিক্ষার লক্ষ্য (NCERT)?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।