Love Jihad: পরিবারের অভিযোগ ফায়াজ ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছিল
নেহা (বাঁ দিকে), ফায়াজ (ডান দিকে)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্ণাটক পুলিশ এমসিএ ছাত্রী নেহা হিরেমাথ হত্যায় (Neha Hiremath Murder) লাভ জিহাদের (Love Jihad) বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে। হুবলি আদালতে দায়ের করা চার্জশিটে পুলিশ বলেছে, বিয়ে করতে অস্বীকার করায় নেহাকে খুন করা হয়েছে। এই চার্জশিটে খুনের বিবরণ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ থাকলেও অভিযুক্ত মোহাম্মদ ফায়াজের বিরুদ্ধে লাভ জিহাদের বিষয়টিকে সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। মূলত ফায়াজের হতাশাকে খুনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। চার্জশিটে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য এবং সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। পুলিশ আইপিসির ৩০২, ৩৪১ এবং ৫০৬ ধারায় ফায়াজ কোন্ডিকাপ্পাকে অভিযুক্ত করেছে। বিস্তৃত চার্জশিটে ৯৯ জনের সাক্ষ্য রয়েছে, যার মধ্যে নেহার পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য রয়েছে। বাবা, মা, ভাই, সহপাঠী, বন্ধু এবং বিভিবি কলেজের লেকচারার।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, ফায়াজ এবং নেহা ২০২০-২১ সালে হুবলির পিসি জাবীন কলেজে সহপাঠী ছিলেন। সেই সময় তাঁরা বন্ধু হয়ে ওঠে এবং ২০২২ সালে তাঁদের প্রেম শুরু হয়। ২০২৪ সালে, দুজনের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয় এবং নেহা ফায়াজের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। উপেক্ষা করার পর ফায়াজ তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ পোষণ করতে থাকে এবং তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২০২৪ সালের ১৮ এপ্রিল, ফায়াজ তাঁকে ছুরি দিয়ে (Neha Hiremath Murder) হত্যা করে। চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নেহাকে আক্রমণ করার আগে ফায়াজ তাকে চিৎকার করে বলে, এতদিন প্রেম করার পরেও কেন তাঁকে বিয়ে করবে না। তারপর সে বলে, তোকে ছাড়ব না এবং এরপরেই নেহার গলায় ছুরিকাঘাত শুরু করে। এর পর বুকে ও ঘাড়ে ছুরি দিয়ে নৃশংস ভাবে আঘাত করে। ৩০ সেকেন্ডে ১৪ বার ছুরি মারা হয়েছিল এবং এর কারণে তার গলার শিরা কেটে যায়। যার ফলে প্রচুর পরিমাণে রক্ত বের হয়। পরে নেহার মৃত্যু হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ফায়াজ পরে ছুরিটি ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যায়।
খুনের তিন দিন আগে ফায়াজ ধারাওয়াদের আর্য সুপার মার্কেট থেকে ছুরি কেনে। অপরাধের দিন কলেজ ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় সে একটি লাল টুপি কিনে কালো মাস্কে মুখ ঢেকেছিল। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে সিআইডি সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছে। হত্যার (Neha Hiremath Murder) ৮১ দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘটে যাওয়া এই নৃশংস ঘটনা রাজ্যকে হতবাক করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরা ঘটনাটিকে প্রেম-সম্পর্কিত বিষয় হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন, যার জেরে রাজ্যের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছিল।
আরও পড়ুন: মেড ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য! প্রথম বার স্নাইপার রাইফেল রফতানির বরাত পেল ভারত
পরে তাঁরা দুজনেই তাঁদের বক্তব্যের জন্য নেহার পরিবারের কাছে ক্ষমা চান। নেহার বাবা-মা দাবি করেছিলেন, তাঁদের মেয়েকে অভিযুক্ত ফায়াজ ধর্ম পরিবর্তন (Love Jihad) করে বিবাহের জন্য চাপ দিচ্ছিল এবং নির্যাতন করেছিল। নেহা বিবাহের জন্য ধর্ম পরিবর্তনে করতে না চাওয়ায় তাঁকে খুন হতে হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।